শারদ অর্ঘ্য ১৪২৮ । গুচ্ছ কবিতা
সরিয়ে নাও হিমেল পাতা।
তার আগে,
কেবল একবার-
স্বাদ-গন্ধহীন
মধুমতী ছোঁয়া চোখে
স্কুল-ছুট্ কিশোরীদের পাগল করা দৃশ্যের
লোফালুফি দেখে নিতে চাই।
শিহরণ
আচমকা সরে এলে
ভয় করে বেশ!
এত শীর্ণ হয়েছে শরীর,
যে কোনো শব্দেই কেঁপে ওঠে।
ভয় করে,
পুনরায় এসে যদি
এই পা গেঁথে দাও-
পলিতে বা জলে।
জ্বর
এই সেই চমৎকার জ্বর
যার ভিতর এলিয়ে পড়ে তোমার মুখ
সর্বাঙ্গে ভেবেছিল
দীর্ঘ শবের কথা।
শ্মশানের ছাই যেমন ওড়ে-
মাঠ, নদী, অরণ্যের ঘুম- পথ ছেড়ে
আকাশের লোভাতুর শিশুর গালে আচ্ছন্ন হয়!
তেমনই জ্বর,
ক্লান্ত হয়,
ঘুমোয় হাওয়ায়।
আলিঙ্গন
ধূলিস্যাৎ হতে হতে,
স্খলনের মুহূর্তটুকু মনে ছিল।
মনে ছিল,
বাকি সব পরিযায়ী পাখি
কুয়াশার মুকুট থেকে
শ্রেষ্ঠ পালক সংগ্রহে ব্যস্ত তখনও!
রাজ্যপাট
পেরিস্কোপ ঘুরিয়ে দ্যাখে
যুবতী আঙুল-
কিশোরীদের স্তনে গাঁথা ছুরি ও বোতল।
বোতলের মুখ থেকে ধোঁয়ার দৈত্য,
অট্টহাসির শেষে চাইছে নিস্তার।
শয্যায় বৃষ্টি আসে।
নিয়মিত রাজ্যপাট সামলে
ফিরে যান পক্ষীরাজ।
রাজা, কেশগুলি ভিজে থাকে।
ভিজে ভিজে বৃষ্টি হয় কেশ।