গু চ্ছ ক বি তা
অন্ধকারের দিকে অপলক তাকিয়ে থাকলে
শুকনো চক্ষুতটও ভেসে যায়
কী ভীষণ, আমি জানি।
আর, ঘূর্ণায়মান কোনও বৃত্তের দিকে
স্থির দৃষ্টি রাখলে
বৃত্তগুলোই আসলে ভেঙে যায়,
তাও কি জানি না?
রাত্রিকে খণ্ড খণ্ড করে তবু আমি
লিখে যাই প্যারালাল ডার্কনেস,
আর, চিকিৎসক
অনিদ্রাকে কাটাছেঁড়া করতে করতে
অ্যাবসোলুট অ্যাংজাইটি এঁকে যান।
এইভাবে রাত্রির পরে
রাত্রিই পড়ে থাকে।
মেমোরি ডট কম…
স্ক্রোল করে যাই…
স্মৃতির উইন্ডো খুলে প্রিয় ছবি কোনো
ভেসে এলে
মনে হয়
ছুঁয়ে থাকি কিছুকাল আরও।
বিগত দুঃখশোকও কীভাবে
নরম ঘাসের মতন পড়ে থাকে!
পাস্ট টেন্সের যাবতীয় শূন্যতা
ক্রমশ ফিকে কেমন!
কোণ থেকে সমগ্র ক্ষরণও
বাষ্প হয়ে উঠে যায় আকাশে!
অতঃপর আন-এন্ডিং মুগ্ধতার আঁচড়
মেমোরি-বক্সে…
বোঝা দুষ্কর এই সব।
মস্তিষ্ক না হয় বুঝে নিক
উইন্ডো-কপাটে সমর্পণের এই পলকগুলি…
আমি তো আগল
খুলেই দিয়েছিলাম
প্রত্যুষে,
দ্বিচারিতা ছিল না
কোনো।
পোড়া পোড়া গন্ধ তবু।
তবে কি
বিশুদ্ধ ছিল না
আমাদের
কথকতা ইত্যাদি?
নতুবা, ডানাগুলো
কাঁটা হয়ে পড়ে কেন
চরে?
অন্ধকার আর আলোর মধ্যে
আস্ত একটা রাত্রি পড়ে থাকে।
সেই রাত্রির মধ্যেই যত সব
চৌরাস্তা, পাঁচরাস্তার মারপ্যাঁচ।
আর সেই রাস্তাগুলোর মধ্যিখানে
আমাদের মানুষজন্ম দাঁড়িয়ে পড়ে।
কোন রাস্তায় ফুটে আছে
আলো নিবিড়,
কোন রাস্তায় জমাট অন্ধকার
জানা হয় না কারুর কারুর।
এর মধ্যেই কেউ কেউ পারে
অন্ধকারগুলো টুকরো টুকরো করে
রাত্রি পার করে
আলোর মধ্যে হেঁটে যেতে,
যেমন তুমি, অনুপম।