গু চ্ছ ক বি তা
চলমান কল্পবৃক্ষ পেরিয়ে, দেবী
সম্মুখে আবির্ভূতা।
নতজানু হয়ে আমি রজন ঘষেছি ছড়ে
শশব্যস্ত হাতে-
বেহালার মাংসল তারে দিয়েছি টান
ফোঁটা ফোঁটা রক্ত চুঁইয়ে পিচ্ছিল যে তর্জনী
জেনেছি, এই যন্ত্রনা মায়া-মৌতাত
অথচ তুমি তা দেখে হেসে খানখান
মলমের বদলে এগিয়ে দিয়েছ- ঠোঁট
অবাক হয়ে দেখেছি
রক্তের প্রতিটি ফোঁটায় উঠে এসেছে
সূর্যমুখী ভোর
স্থির শান্ত মুখে, গ্রহণ করেছ নৈবেদ্য
আর অলৌকিক তড়িতাঘাতে
প্রজ্ঞার তন্ত্রী ছিঁড়ে যায়…
গুহ্যজ্ঞান দাও আমায়,
অলীক তাম্বুরা
কী ভাবে দুটি ধ্বনির মধ্যবর্তী শূন্যতায় –
জেগে ওঠে স্তব্ধতা, দর্শনের আলো…
সভয়ে রেখেছি চোখ,
তোমার ওই চোখে, করুণাঘন হে!
অমোঘ তীক্ষ্ণতায়
পেরেকের আস্ফালন গলে যায়
নুড়ি ভেবে কুড়িয়েছ যাকে
সে আমি –
তোমার গত জন্মের ভোর…