গ ল্প
গৃহশিক্ষক দীপকের ভারী সমস্যা। এখন অতিমারির সময়ে তার ছাত্রের সংখ্যা কমতে কমতে তলানিতে ঠেকেছে। সব অভিভাবক এখন অনলাইনে পঠনপাঠনের দিকে ঝুঁকেছে। অনেকের মাইনে বাকি পড়ে গেছে। কারণ করোনা রোজগার কেড়েছে। দীপক আর ইতুর বিয়ে হয়েছে পাঁচ বছর হল। কোন সন্তান নেই। ডাক্তারবাবু বলেছেন, সন্তান হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। ওভারিতে সিষ্ট আছে। জটিল কেস।
বিয়ের আগে গৃহশিক্ষক দীপক ইতুদের টালির ঘরে ভাড়া থাকত। ইতুর বাবার দুটো টালির ঘর। বাবা আর মেয়ের একটা ঘর হলেই চলে যায়, তাই ভাড়া দেওয়া। ইতুর মা নেই। বাবা বেকার, ঘরের ভাড়া থেকে কোনরকমে তাদের সংসার চলে।
ছোটো থেকেই দীপক মায়ের আদরের ছেলে। মা ছাড়া সে কিছু বোঝে না, চেনে না। ফলে মায়ের স্নেহছায়া একটু বেশি পেতো সে। মা জানতেন এই ছেলে আমার অবর্তমানে অন্য ছেলেমেয়েদের দেখবে। দীপকের বাবা ছিলেন সরকারী কর্মচারী। তিন ছেলে আর দুই মেয়েকে পড়াশোনা শেখাতে সমস্ত ব্যবস্থা করেছেন। খাওয়া পরার কোনো অসুবিধা নেই। বেশ চলছিলো বটগাছের ছায়ায় সাতটি জীবন। কিন্তু মহাকালের বিচার মানতেই হবে। হঠাৎ মারা গেলেন দীপকের বাবা।
তখন দীপকের বয়স একুশ। বি এ পাশ করে আইটিআই-এ ভর্তি হয়েছিলো। কিন্তু অর্ধপথে পড়া থেমে গেলো। সংসারের সমস্ত দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিলো দীপক। তবে বাবার চাকরিটা সে পেল না। গৃহশিক্ষক দীপক এবার ভাইবোনদের পড়াশোনা, মাকে যত্ন করা সব ওই সামান্য মাইনের টাকাতেই চালাত।
এক রাতে বাসা বাড়িতে খাবার নেই। টিউশানির মাইনের টাকা গ্রামে মায়ের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে। সামান্য ক’টা টাকা আছে। দীপক জানে মাস চালাতে হবে। রাত বেশি হওয়ায় দোকানগুলো বন্ধ। একগ্লাস জল ঢকঢক করে পান করলো। অমৃতের স্বাদ। কিন্তু খালি পেট তবু মানে না বারণ। খিদেয় পেট চুঁই চুঁই করছে। তবু লেপমুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়লো। হঠাৎ দরজায় শুনতে পেলো ঠক ঠক আওয়াজ। দীপক বলে, কে?
— আমি, দরজাটা খুলুন।
— জগতে সবাই তো আমি। নাম বলুন।
— আমি ইতু।
— এত রাতে!
— আরে খুলুন না ছাই।
দরজা খুলে সে দেখলো সত্যিই বাড়িওয়ালার সুন্দরী অষ্টাদশী মেয়েটা। হাতে একটা থালা। বললো, আজকে আমাদের সত্যনারায়ণ পুজো ছিলো, মা তাই প্রসাদ পাঠালেন। খেয়ে জল খাবেন। প্রসাদ খেয়ে জল খেতে হয়। সেই প্রসাদ খেয়ে দীপক ঘুমিয়েছিলো।
বাড়িওয়ালার মেয়ে ইতু দেখতো, দীপক সকালে বেরিয়ে যায় আর রাতে ঢোকে। তার মানে হোটেলে খায়। কোনোদিন বেশি কথা বলে না। শুধু জিজ্ঞেস করে, ভালো আছেন? আর ভাড়া দিতে এলে বলে, বাবা আছে, দাঁড়ান ডেকে দিচ্ছি। ইতু বাবাকে বলে, আমি দীপকের কাছে ইংরাজিটা দেখিয়ে নেবো। বাবা খুব কিপটে। বিনা পয়সায় পড়ানোতে আপত্তি নেই।
রাতে দীপক এলে ইতু বই নিয়ে ওর ঘরে গেলো। লুঙ্গি পরে তক্তায় সে বসেছিলো। সে বললো, কিছু বলবে?
— হুঁ, একটু ইংরাজিটা দেখিয়ে দেবেন?
— কই দেখি, আমিও বই পড়তে ভালোবাসি।
— আর পড়াতে ভালোবাসেন না?
— হ্যাঁ, তবে দুজনে আলোচনা করবো। ইংলিশ আমার বেস্ট সাবজেক্ট ছিলো।
— তাই! তাহলে ভালো হলো। আমি ইংলিশে উইক।
দীপক দেখছে ইতুর পড়াশোনায় মন নেই। শুধু কথা বলে চলে। বলে, আপনি এত অগোছালো কেন? তারপর দেখলো ইতু সব কিছু গোছাতে শুরু করেছে।
দীপক বললো, তুমি বাবার একমাত্র মেয়ে, আমার কাজ করবে কেন?
— আমি এসব দেখতে পারি না। আপনি চুপ করে বসুন। আর আমি একবার করে আপনার কাছে গল্প করতে আসবো। তাড়িয়ে দেবেন না তো?
— না, না আমিও তো একাই থাকি। কথা বলার সঙ্গী পাবো।
— বাবাকে বলবেন, আমি খুব পড়ি।
— মিথ্যা বলতে নেই। যা বলার তুমি বলবে। আমি কিছু বলবো না।
— ঠিক আছে, আপনি ক্যাবলার মতো এসব বলবেন না।
–আমি এসব ভালোবাসি না।
দীপক ভাবে মেয়েটা কী চায়? আমার মাথার ওপর বড়ো সংসারের দায়িত্ব। আমাকে সাবধানে চলতে হবে।
পুজোর ছুটিতে দীপক গ্রামের বাড়িতে এসেছে। মায়ের জন্য সাদা তাঁতের শাড়ি। দুই ভাইয়ের জন্য জামা, প্যান্ট একই কালারের। বোনেদের চুড়িদার এনেছে। বাড়িতে দুর্গাপুজোর পালা। আগের দিন রাত থেকে সব্জি কাটা, কুটনো কোটা শুরু হলো। অনেক লোকজন বাড়িতে, তাদের খাওয়ার ব্যবস্থা। বড়ো বড়ো গামলায় রেখে সব্জি সব উঠোনে নামানো হলো। কাল সকালবেলা রান্না হবে। দীপককে ওর মা বলে, এবার বিয়ে করে নে। আমি দোনাগ্রামে মেয়ে দেখে রেখেছি। কথাও বলেছি। মায়ের কথা ফেলতে পারে না দীপক। সে সম্মতি দিলো না কি বুঝতে পারল না তার মা। দীপক মাথা নাড়ল। তা না হলে মা দুঃখ পাবেন।
পুজোর ছুটি ফুরিয়ে গেলে দীপক ফিরে এলো শহরে। এসেই দেখলো, ইতু হাতে একটা চিঠি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। দীপক বললো, কী এটা?
–পুজোতে তোমার জন্য লিখেছি।
–থাক, তোমার কাছে থাক।
–কিন্তু আমি যে অনেক কিছু দিয়েছি তোমাকে। আমার মনপ্রাণ সবকিছু।
দীপককে, ইতু জড়িয়ে ধরলো লজ্জা ভুলে। চোখের জলে তার জামা ভিজিয়ে দিলো। আর দীপক তো কাঁদতে পারছে না। ইতুর জন্য তার মন কতবার যে ডাক দিয়ে গেছে তার ইয়ত্তা নেই। দীপকের বাসা বাড়ির টালির চাল। জানালা দিয়ে তাকিয়ে দেখলো, চাঁদ আজ জোছনা ঢেলেছে সবুজের বুকে।
দীপক মা-কে সবকথা বলে বিয়ে করেছে ইতুকে। মা খুব খুশি। তারপর বারো বছর কেটে গেলো। মা চলে গেলেন। ভাইবোনেরাও প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু দীপকের খুব খারাপ অবস্থা। আর আগের মত গৃহশিক্ষকতা করার সুযোগ পায় না। ইতুর বাবা পরলোকে চলে গেলেন। এখন দীপক আর ইতু থাকে টালির চালের ঘরে। সামনে বড় উঠোন। ইতুর শরীর সুস্থ করার জন্য ডাক্তারের দেওয়া পরামর্শ মেনে চলে। ওষুধ খায়। দীপক জানে ওষুধ আর খাওয়াপরা নিয়ে দু’জনের এই দুর্মূল্যের বাজারে পাঁচহাজার টাকা হলে কোনরকমে চলে যাবে। দীপকের এখন আয় সাকুল্যে দেড়হাজার টাকা। চলে না সংসার। ঠেলাগাড়ির মতো ঠেলে ঠেলে চালাতে হয়। হাসিমুখি ইতুর মুখ এখন ভরা শ্রাবণের বর্ষার মেঘের মত কালো হয়ে থাকে। দীপক মরিয়া হয়ে ওঠে। একটা কিছু করতেই হবে। ইতু বলে, বাড়ি বাড়ি আমি রান্না করলেও দু’মুঠো জুটে যেত। কিন্তু বড়বংশের মেয়ে হয়ে এ কাজ করতে লজ্জা লাগে। দীপক মুনিষের কাজ করতে পারবে না। ঘাস কাটতে জানে না। দীপক ভাবে, শাড়ির দোকানে সেলসম্যানের কাজ নেবে। দীপক শাড়ি মিউজিয়ামে গেল। ঢুকে সরাসরি মালিককে বলল,আমার একটা কাজ দরকার। মালিক বললেন, এখন বিক্রিবাট্টা কম। কাজের লোক নেব না।
তারপর রূপশ্রী, দেবনাথ, রামকানাই, হাওড়া শাড়ি শো সব ঘুরে বাড়ি এসে হতাশ হয়ে বসে পড়ল। ইতুকে বলল, একগ্লাস জল দাও।
ইতু বলল, এবার জলই খেতে হবে গো।
সারারাত দু’জনের ঘুম নেই। ভোরবেলা দু’জনেই ঘুমিয়ে পড়েছিলো। আজ ঘুম থেকে উঠতে ওদের আটটা বেজে গেল। উঠেই দেখে উঠোনে মাটির এক দেবতামূর্তি। মিস্তিরি হয়ত কার্তিকঠাকুর বানাতে গিয়েছিল, কিন্তু এটা কার্তিক না কী বোঝার উপায় নেই। সিঁদুর ঢেলে একাকার করে দিয়েছে চোখমুখ। বোঝার উপায় নেই।
ইতু বলেন, আমাদের ছেলেপিলে নাই বলে পাড়ার ছেলেরা হয়ত কার্তিক রেখে গেছে। আবার খরচ বাড়ল। পুজো করতে হবে।
ইতু বিয়ের আগে ছবি আঁকত। এখনও কিছুটা অভ্যাস আছে। দীপক বলল, চেঁচামেচি কোরো না। তুমি তুলি দিয়ে এই মূর্তিটা রঙচঙে করে দাও। ইতু বলে, কেন? এসব কেন?
দীপক বলে, তর্ক করার সময় পরে পাবে। এখন যা বলছি তাই করো।
ইতু তুলিরং বের করে কাজ শুরু করল। দীপক উঠোনে গর্ত করে শিলনোড়াটা পুঁতে দিল। মাটির মূর্তিটাও কিছুটা গর্ত করে বসিয়ে দিল। উঠোনটা প্রায় এককাঠার মত জায়গা জুড়ে রয়েছে। দীপক সিঁদুর মাখিয়ে মূর্তি ভয়ঙ্কর করে তুলেছে। মানুষ দেখলেই ভয়ে ভক্তি করবে। কাজ কম্প্লিট করে চান করে মূর্তির সামনে বসে পড়ল সে। ইতু দীপকের কথামতো পাশের বাড়িতে জানালো। পাশের বাড়ির লোক পাঁচকান করে দিলো।
লোকজনে উঠোন ভর্তি হয়ে গেল। টুকটাক টাকাপয়সা পড়তে শুরু করল। কেউ আপেল দিল, কেউ নানারকম ফলমূল নিয়ে এসে হাজির। পাড়ার যারা রাতে এই কাজটি করেছে, তারা বলল দীপককে, আমরা কিন্তু একটা মূর্তি আপনার উঠোনে রেখেছিলাম। কিন্তু সেটা গেল কোথায়? দীপক মৌন হয়ে আছে। তার বদলে ইতু বলল, তা তো জানি না। আমরা উঠেই দেখলাম উঠোনের এই অবস্থা। পাড়ার ছেলেরা বলল, না বৌদি কোনোদিন মিছে কথা বলেন না। তাদের মধ্যে একজন বলল, ওই পাথরও তো মাটির তলা থেকে উঠেছে। মাথাটা জেগে আছে। পাড়ার ছেলেমেয়েরা দীপকের ভক্ত হয়ে গেল। তারা বলল, এটা নিশ্চয় ওপরওয়ালার দয়া। দীপক মনে মনে হাসে আর ভাবে ওপরওয়ালা তো আমি। কী করব, না খেয়ে মরার থেকে তো ভালো। কিন্তু সে মৌনব্রত ধারণ করেছে। মিথ্যা কথা বলতে সে পারবে না। ইতু আর কিছু বলে না। এবার সব দায়িত্ব পাড়ার লোকজন নিলো।
পাড়ায় সন্ধ্যাবেলায় সকলে জড়ো হল দরজাঘাটের মাঠে। ঠিক হল, সকলে মিলে চাঁদা তুলে একটা ছাউনি করা হবে। সকাল, সন্ধ্যায় ধূপধুনো দেবে দীপক আর ইতু। মণিকাকা বললেন, এখন এটা পাড়ার মঙ্গলের জন্য সকলকে করতে হবে। রাতে ইতু বলে দীপককে, যারা অভাবে পেটভরে খেতে পায় না, তাদের যদি পাড়ার সকলে এক হয়ে খাবার ব্যাবস্থা করত, কত ভাল হত। দীপক বলে, সেখানেই তো গন্ডগোল। ছাড়ো ওসব। এবার একটা ভেল্কি দেখাব। ইতু বলে, কী ভেল্কি? দীপক বলে, রেশনে পাওয়া ছোলা কত কেজি আছে? ইতু বলে, একবছরে অনেক ছোলা জমে গেছে। বড় হাঁড়ির এক হাঁড়ি হবে। দীপক বলল, ভিজিয়ে দাও ছোলাগুলো সব। একদিন পরে ছোলাগুলো ভিজে সামান্য অঙ্কুরিত হবে। তারপর এগুলোকে ভিজে মাটির তলায় রেখে অনবরত গঙ্গার জলে ভেজাতে থাকব। তারপর বালির মধ্যে রাখা নোড়া মাটির তলা থেকে বেরিয়ে উপরে উঠবে। ইতু বলে, হ্যাঁ পনের কেজি ছোলা সম্পূর্ণ অঙ্কুরিত হলেই চাপ সৃষ্টি হবে আর ওই উর্ধ্বমুখী চাপে নোড়া উপরে উঠবে। নোড়ায় সিঁদুর, চন্দনে মাখামাখি। দেখলেই ভক্তি আসবে। আর নোড়া উপরে উঠতে দেখলেই কুসংস্কারের মনগুলো ভক্তিতে গদগদ হয়ে প্রচুর অর্থ ঢালবে জলের মতো। দীপক গর্ত করে নোড়ার তলায় ভিজে পনের কেজি ছোলা রেখে দিল। এবার সকাল থেকেই অল্প করে জল ঢালতে হবে অনবরত।
পরের দিন সকালবেলা লোকজন আসার আগে পাড়ার ছেলেরা বাঁশের ব্যারিকেড করে দাঁড়াবার জন্য গোল গোল দাগ করে দিল। সকলে মাস্ক পরেই আসছে। গ্রাম ছাড়িয়ে গুজব শহরে ছড়িয়ে পড়েছে দাবানলের মত। প্রচুর লোক আসছে। ক্লাবের সেক্রেটারি থানায় একটা খবর দিয়ে রেখেছেন। থানার অফিসার বলে দিয়েছেন তিরিশজনের বেশি একসঙ্গে ঢোকাবেন না।
পাড়ার স্বেচ্ছাসেবকরা গুণে গুণে লোক ঢোকাচ্ছে। প্রায় বারোটা নাগাদ নোড়া ঠেলে উঠতে শুরু করল উপরের দিকে ধীরে ধীরে। ক্লাবের সেক্রেটারি বললেন, আরে দেখ, দেখ পাথরটা ওপরের দিকে উঠছে। সকলে দেখল, তাই তো! মাটির তলা থেকে ওপরে উঠছে সিঁদুরমাখানো পাথরটা। সমস্বরে সকলে চিৎকার করে উঠল, জয় বাবার জয়। পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে গঙ্গা…
দীপক মৌন হয়ে বসে আছে উঠোনে। বসে বসেই গৃহশিক্ষকের বড় ব্যবসাদারের মতো আয় হতে লাগলো। দিকে দিকে ছড়িয়ে গেলো দীপকের মাহাত্ম্য। কেউ কেউ বলে উঠল, জয় দীপকবাবার জয়, জয় দীপকবাবার জয়। ইতু মুচকি হাসল।
বেশ কয়েক মাস এভাবেই কাটল। তারপর একরাতে দীপক আর ইতু দু’জনে গঙ্গায় ভাসিয়ে দিল মূর্তি ও পাথর। গঙ্গার কাছাকাছি দীপকের বাড়ি হওয়ায় এটা সম্ভব হল। ভোরবেলা দীপক আর ইতু উঠে বসল উঠোনে উন্মুক্ত হাওয়ায়। বেলা বাড়লে পাড়ার সকলে এসে দেখল, উঠোন ফাঁকা। সেই মূর্তিও নেই আর পাথরটাও নেই। সকলের এক প্রশ্ন, গেলো কোথায়? এতো লোকের মাঝখান থেকে কী করে উধাও হল মূর্তি! গুজব ছড়িয়ে পড়ল বাতাসে। দীপকবাবা একজনের প্রশ্নের উত্তরে কথা বললেন। তিনি বললেন, মানুষকে ভালো না বাসলে, মানুষের উপকার না করলে, মানবসেবা না করলে তিনি সেখানে থাকেন না। দীপকবাবার কথায় সকলে তার জয়ধ্বনি দিতে শুরু করল। প্রণামীর বাক্স ভরতে শুরু করল ধীরে ধীরে।
দীপক মুচকি হেসে, একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে স্থির হয়ে বসল…