বাং লা দে শে র ক বি তা
কতরকম চলে যাওয়া দেখতে হয়
সেগুন কাঠের দরজা হলে, আর
ফিরে না আসা পা-এর জন্য থাকে অপেক্ষা।
পালক জমিয়ে রাখা পাখির না-
পাখি হতে না পারা মানুষের নেশা।
জমছে পাথর আর পালক
শূন্য সময়ে তারা থামবে কোথাও।
আমাদের পথ ভিন্ন ভিন্ন ঘরে জমাবে উৎসব
রাত্রি ঘিরে সাজাবে পরিক্রমাগুলি।
নিয়র জমছে
ভেজা মাটি শীত।
আমাদের ভাঁজ খোলা মুহূর্তরা পেছনে,
সময়ের অনুমোদন নেই পৌঁছাবার-
যা ফিরে গেছে, ফিরে পাবার।
এরকম হয়, হয় কেন?
প্রশ্ন নিশ্চুপে ফেরে।
কিছু শরীরের কাছে শরীর দাগ
বুকের মাংসে চাঁদের কামড়
পাহাড়ি ফলের ঔষধে ঢেকে থাকা জখম।
প্রেম শিশুর মতো এসে, কেমন পশু করে রেখে যায়।
পদ্ম ফুটে আছে একা
জল শুধু জলের সঙ্গেই মেশে।
সমুদ্রের আর্তি শুনি- নোনতা লাগে।
বসন্ত বিলিয়ে গেছি একা, রং-এর অসুখে ভুগে-
পথ ছেড়ে আবিরের দিন মুছে-
বোকা, চিরন্তনী-
যাকে শহরের সমস্ত অন্ধকার ঝাড়লেও খুঁজে পাবেনা আর।
আঙুলে টিপে কেউ মেরে ফেলে আলোর দান, জোনাকির ঘ্রাণ।
এত আলো চায় না তো চোখ
হৃদয় হবে অন্ধকার-
মৃত তিমির পেটের ভেতর কুঁচকে থাকবে শেষ বিকেল।