ক বি তা
পথ চলা শুরু করে যেদিন পৌঁছে যাবো
তোমার বাড়ির সামনে
তোমার ঘরের দরজায়, সেদিন জানি
আমায় মেপে নিতে হবে চৌকাঠের দৈর্ঘ্য
জানলার উচ্চতা, বসার ঘরের ক্ষেত্রফল,
পড়ে নিতে হবে তোমার মুখ
একাধিকবার আমায় শুনে নিতে হবে
তোমার বুকে বেজে ওঠা অনিশ্চিত শব্দ,
হে পুরুষ, তোমার ঘর অবধি পৌঁছতে তখনও
অনেক দেরি, তার আগে জেনে নিতে হবে
তোমার হাতের আঙুলের ছটফটানি
চোখের নিষ্পলক তাকিয়ে থাকা,
যেদিন ধরে ফেলতে পারবো
কেন ওই চোখের দৃষ্টি এত নিষ্পলক?
কেন সজাগ হয়ে চেয়ে থাকে?
মাথার উপর ঘুরে চলা পুরনো পাখাটার দিকে
কেন একবারও আমায় খুঁজে নিতে চায়না?
বারবার হাতের মুঠোয় আটকে নেয় কথা
আমি জানি, সেদিন আমায় মেপে নিতে হবে
তোমার নিজস্ব ঘরের প্রস্থ, গায়ের জামার মিটার।
তোমার বাড়ি থেকে নিয়ে এলাম
নিজেকে
যে গলি দিয়ে আমরা হেঁটে গেছি
সেখান দিয়ে হেঁটে যাবে এখন
অপেক্ষা
দুশোটা অপেক্ষার পরও
আর দেখা হবেনা
শরীরের সব অখণ্ডতা বুঝে নিয়েছি
বুঝে নিয়েছ তুমি,
এখন সারা শরীর খণ্ড হয়ে গেলেও
রক্ত থাকবে না
সূর্য উঠবে–নামবে, চলে যাবে
রয়ে যাবে রাত
অন্ধকার
গভীরতার কাছে গাঢ় হবে মুছে যাওয়া
যে ঘরগুলি দু’জনকেই চেনে
সেখানে এখন থেকে অন্য কেউ যাবে।