গু চ্ছ ক বি তা
গমের ক্ষেতে হেঁটে যাওয়া; আর রোদ্দুর
এই গল্পে কোথাও খুনোখুনি নেই
উজ্জ্বল রঙে কাকগুলি উড়ে যায়
অ্যাসাইলামের বারান্দা, আশেপাশের মাঠ
দূর কুয়াশার মধ্যে
মানুষেরা হারিয়ে গিয়ে ফিরে আসে আবার।
আমরাও ভিন্ন হই অন্যরকম আঁচে
নিশীথে ফুলমালা দোলে
যামিনী না যেতে
মহীনের ঘোড়াগুলি মরে ভূত হয়ে গেছে
হাওয়ায় খঞ্জনির শব্দ নৈঃশব্দ্য ভেঙে কাছে আসে
চকিতে সুদূরে মিলায়
তারাভরা আকাশের নীচে
এক উন্মাদ অসুস্থ কল্পনা থেকে
শিল্পের জন্ম দিয়ে যায়।
ধুলোজনিত স্মৃতির কাঁচ ঠেলে সাজিয়ে রাখি শোপিস
মার্জারিনের দিন ফিরে এসেছে
গোটা বিচারপর্ব জুড়ে নিরুত্তাপ থেকে যাই
যদিও উপস্থিত সুধীজনের কাছে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা
প্রথম কয়েক ঘন্টা কিছুই শোনা যাবে না। চাপা কাশি
বুকের ওঠানামা হাপরের মতো দেখাবে
থুতু ও নাভির ভিতর
একটি মাকড়সার জাল এগিয়ে যাচ্ছে
যখন আমাদের কণ্ঠনালি দশদিন কেউ চেপে রেখেছে
প্রহরশেষের ঘন্টা বেজে ওঠে
এইমাত্র মর্ত্যে দেবদূতের আবির্ভাব ঘটেছে
আর উজ্জ্বল নক্ষত্র অনুসরণ করে তিনজন প্রাজ্ঞ
আস্তাবলের দিকে এগিয়ে চলেছে।
ধূপ, ধুনো, অগুরু, চন্দন— সুগন্ধী পুড়ছে
প্রতিটি অপরাধের পর বিবেক মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে
আর আমরা অসহায় আত্মসমর্পণ করি
লাল উল চলে যাচ্ছে লাল ভেড়ার সামনে দিয়ে
রগ টিপে ধরে ধাতস্থ হতে চেষ্টা চালাচ্ছি
এসি চালু আছে; এবং গাড়ির তাপমাত্রা হুহু করে
কমছে; চাবি ঘুরিয়ে দেখে নিচ্ছি।
সৈনিকদের হইহল্লা; আর তাঁবু থেকে বেরিয়ে আসার জন্য
হরিণীর চিৎকার; সব মিলেমিশে যাচ্ছে
বড়দিনে গির্জার ঘন্টায়
পেরেকে ঝোলানো চে গেভারা
মোমবাতিটা নিভে গেছে,
আমরা নতমস্তকে দেশলাই খুঁজে চলি।
সেরে যাওয়া প্রতিটি ক্ষত যন্ত্রণার স্মৃতি উস্কে দিচ্ছে
ম্যাস্টিফ আপেল চিবোতে চিবোতে
তালাবন্ধ ঘরের দিকে চলে যাচ্ছে
যখন আয়নায় নিজের প্রতিবিম্ব চিনতে পারে না সাতদিন
বন্ধ দরজার কেবিন। যুবতী লাইটহাউজ
একটি জাহাজ পানামা খালের দিকে চলে যাচ্ছে
প্লেট লাফিয়ে নামছে; কাঁচের টুকরো এসে বিঁধছে
প্রতিটি আপেল অন্য আপেলের গলা টিপে ধরছে
সেরে যাওয়া ক্ষতে শুকনো চামড়া খসখস করছে
একবার ব্রাশ বুলিয়ে নেওয়া দরকার
শেষবারের মতো ওয়াশরুম খুঁজছি।