ক বি তা
মাঝেমধ্যে ঘুম ভেঙে পড়ে যায় দুঃস্বপ্নেরা অবচেতনের দরজা ভেঙে,
আর তখনই প্রয়োজন হয় অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র,
এতো খুব চাহিদার ছারখার নয়,
তাই রোগের আগেই মজুত করে রাখতে হয় অ্যান্টিডোট,
আগুনে শুদ্ধতায় ডুবে গিয়েও ফিরে আসি নিজের চৌহদ্দির মধ্যে।
হাতের কর গুনে গুনে প্রত্যেকটা ক্ষতবিক্ষত মেরামতের রসদ ফুরিয়ে এনেছে জীবন…
এখন কোন বিষ বা বনৌষধি কাজ দেয় না,
একটা আকণ্ঠ অস্বস্তি নিয়ে মাথায় একমাত্র মায়ার বোধ কুরে কুরে খায়।
শেষ অবধি এই মিহিন সন্ধ্যায় আগুন জ্বালিয়েছি, আরও একবার-
এও এক উৎসব- ক্যাম্প ফায়ার।
আর কিছুটা দাহ্য ঢেলে দিয়ে উপভোগ করার জন্য…
জীবনের সব অশ্লীল চাওয়া।
দু’একটা শব্দেই এখন সংলাপ শেষ।
মা বটগাছের মতো জড়িয়ে নেয়
আমার মনের ফাঁকা মাঠ,
সুপুরি গাছের দীর্ঘ ছায়ার মতো
পশ্চিমে হেলে পড়বে, সন্ধের পরে।
আমিও বসবো কিছুক্ষণ একা…
ওই একা বিশ্বস্ত মা গাছের পাশে।
এখন আর কোনো রবিবার নেই,
সব ঘরে ঘরে এক একটা দ্বীপ,
ছোট উপসাগর দূরত্বে চেনা মানুষ।
শব্দের ডেসিবেল পৌঁছোতে কত যুগ
তাই এখন রোজই লম্বা উইকএন্ড
বোবা শব্দেরা যন্ত্রণায় চিৎকার করে ওঠে।