ক বি তা
রোল কল করছেন ঈশ্বর
-‘ইয়েস স্যার’
হাত তুলে প্যাকিংবাক্স থেকে বেরিয়ে এলো এক শাদা বেড়াল। অবজ্ঞার চোখে তাকালো। তারপর মুতে দিয়ে এলো পাণ্ডুলিপিতে। কবি জানতেও পারেনি বেড়ালের ভাষা। কুমারীর স্তনে তখনো অভিমানী আঁচড়। অ্যামোনিয়া ও কাঁচা দুধের গন্ধে বিভোর সকাল। একটা ইঁদুর অবলীলায় হেঁটে যাচ্ছে আলমারির পিছনে। খাদ্যশৃঙ্খল ঘেঁটে দিয়ে রাত সেই যে গেছে, ফিরে আসেনি। ঘোরের মধ্যে টের পাই কে যেন গুনে যাচ্ছে ডিসেম্বরের স্মৃতি…
কবিকেও পেয়ে বসেছে ঘড়িহীন রোলকলের খেলায়…
আমার মাথায় খুন চেপে গেলে
আমি দ্রুত প্রেমে পড়ে যাই যে কোনো কারো
দেয়ালের সাথে ঠেসে ধরি প্রেমিকার মুখ
আর চুম্বন করি হিসহিস ছটফট
পরিত্রাণহীন প্রেম…
আমার শিরায় প্রেম বয়ে গেলে
হাতের রেখায় এঁকে রাখি রক্তমাখা হাঁস
একাধিক রূপমুগ্ধ প্রেমিক প্রেমিকা গোপন ছুরি
আর নখের আঁচড় হিড়হিড় ফালাফালা
সম্ভাবনাময় খুন…
প্রতিটি প্রেমই এক শৈল্পিক হত্যাকাণ্ড।
আর, প্রতিটি হত্যাই নান্দনিক প্রেম।