ক বি তা
ঈশ্বর-পরবর্তী স্টেশনের আগাম রেডিও সতর্কতা
আবহাওয়ার অনুকূল নও তুমি, অথচ উত্তাল সমুদ্রে মাছ ইশারায় লাজুক
আলগা বুকের কাছে একটি সেফটিপিন দিয়ে নাবালিকা বয়সের উত্তেজনা ঢাকা
দেখি, ভাসমান দ্রাক্ষারসে চোখ দু’টি বুলিয়ে নিয়েছ যেন উপগ্রহের কৃত্রিম ফ্রিকোয়েন্সিতে
বেজুবান মুহূর্তের কলমিলতার বন বড়ই নাজুক
ওড়নার মানচিত্রে ওড়ে সুধন্য আকাশ, ছুঁয়েছিল আস্কারার রঙিন মশারি
আমার পরকিয়া নোটবুক লিখেছে মান্দারিন ঠোঁট, উত্তমাশা পেরিয়ে নিজস্ব জলপথ
খুঁজে পাব বলে তোমার কক্ষপথে ঘুরেছি অসংখ্য দিন, সেইসব
সহজে উপেক্ষা করো, লজ্জাবতী গৃহিনীর মতো তোমারও
জাহাজঘাটের দিকে পড়ে আছে ভ্রাম্যমান ভূগোলের বই,
একটি নাবিক টুপি, অসমাপ্ত পিতলের ঝিনুকবাটি
অপুষ্পক কবিতার কাছে একটি চেয়েছি সারল্য পুষ্পধনু তবু
ইশারার মেলট্রেন ছুটে যাচ্ছে অন্য অভিমুখে
অপেক্ষার সিমেন্ট বাঁধানো বেঞ্চিতে শুয়ে আছে একটি মখমল মুখ
তুমি সূক্ষ্ম সুতোর কাজে তীব্র আলো জ্বেলে দিচ্ছ চোখের গভীরে
অথচ ভিতর উজাড় করে সকলেই যেতে চায় স্বর্গের কাছে
তোমার বাড়ির কাছে কোনও রেলের স্টেশন নেই,
আমার সরলবর্গীয় লাইনে সংরক্ষিত ব্যর্থ টিকিটের মুশায়েরা,
ইশারার টয়ট্রেন ছুটে যাচ্ছে অন্য অভিমুখে
বিধিসম্মতভাবে মুখ বদলে গিয়েছে