ক বি তা
সমস্ত তপ্ত নিঃশ্বাস একদিন উপহার দেবো মৃত্যুকে
মস্তিষ্ক জুড়ে জীবন গাছের ফল ভেট পাঠাবো মৃত্যুকে
শুধু রেখে দিয়ে যাব নিঃশব্দে
গনগনে আগুনের ওপর গরম ভাতের গন্ধ
তোমার ধিক্কারে মনের জিভ প্রতিনিয়ত বিষ চুষে খায়
ইতিহাসের পাতা বেয়ে আমি ঠিকানা কুড়িয়ে ফিরি
যে সীমান্ত দু’হাত মেলে যাপন ভিক্ষে দেয়
তার বুকে চালিয়ে দিই ভ্রুকুটির তরবারি আর কলম
মেঘেদের খাদ বরাবর মরুভূমির অলীক ঠিকানা
রঙিন আয়নার বুকে জীবনের ছাইভস্মের আলপনা
সেদিন হেমন্তের কুয়াশা বেয়ে
হারিয়ে গেল মা
খড়ের চালে শুয়ে লাউ কুমড়ো
যেন নিস্তব্ধতা সেঁকে নেবার গান শুনছে
কুয়াশা ঢাকা বিবর্ণ চাঁদেও
সেদিন মৃত্যুর জমাট গন্ধ
আজ কিন্তু হেমন্ত এলেই
প্রবল বৃষ্টি নামে
ছুটে যাই মায়ের ঘরে
শৈশব আর মাকে ছুঁয়ে ফেলি
প্রবল বর্ষায় মরুভূমির শুকনো গাছ
পাতায় ভরে ওঠে পরদিন