গু চ্ছ ক বি তা
ছাই হয়ে আসছে প্রলয়ের স্বাদ
উত্তরের আকাশে এখনও গৃহস্থের গোধূলি।
সময়ের বুক ঘেঁষে ব্যথারা উড়ে যাচ্ছে
এলোকেশী বাতাসের মতো
মাকড়সার গতিবেগে জড়িয়ে নিচ্ছে আদিম রাত্রি।
ভাঙা কাঠবাদামের ভিতর আমাদের সুখী সংসার,
দু’মুঠো ভাত আর হকারের হাঁকাহাঁকি।
আসন্ন ভোরের মতো এই জীবনে জেগে উঠি রোজ
নির্বিকার চাউনি বয়ে আনে ঝাঁঝালো নিশ্বাস।
তবুও তো শেষ হয়ে আসছে পথ–
ভুল গলিতে এঁকে রাখছি অশান্ত পরিধি
ফ্যাকাসে ঠিকানা, বিষাক্ত সাইরেন।
ছিঁড়ে ফেলা ফুলের গন্ধটুকুর মতো
ভেসে আসছে তোমার অস্পষ্ট মুখ…
মনে পড়ছে মুখচোরা হাওয়ার মতো
থেমে যাওয়া আমাদের যোগাযোগ।
এর বেশি আর ভাবতে পারছি না কিছুই!
কখন, কাকে, কতটুকু, কী দিয়েছি
ভুলে গেছি সব
ভুলে গেছি, কত অভিনয়ে ঢাকা পড়ে গেছে
আমাদের গোপন অসুখ।
সহজ কথার মতো জটিল হয়ে গেছে পিছুটান
ধুলো জমে পড়ে আছে শুধু আমাদের একরাশ অভিমান।
রাত বাড়লেই জেগে ওঠে পাপবোধ
ভাঙা কার্নিশে ডানা মেলে অজস্র ভুল
নড়তে দেখি ঝাঁকানো সিদ্ধান্তগুলো।
ঘুমের ভিতর বাড়ে দারুণ কোলাহল
প্লাটফর্ম ছাড়িয়ে বহুদূর চলে যায় ট্রেন।
খানিক পরেই নামবে ভোর…
ভুলেরা ঠিক হয়ে মিলিয়ে যাবে বাঁচার চাহিদায়।
এক পা এগোলেই মুছে যাবে সময়
একটু আগে যা কিছু ছিল
সব হয়ে যাবে স্মৃতির পালক।
কী ছেড়ে এলাম ভাবাবে শুধুই,
ভাবতে ভাবতে মন খারাপ করে বসে থাকবে
দাঁড়িপাল্লার পাশে।
আল্পনা, প্রতিশ্রুতি, হিসেব, এমনকি আগের প্রচন্ড ব্যথাও
ছুঁতে পারবে না আর কিছুই।
তারপর হাজার হাজার মুহূর্ত পেরিয়ে পৌঁছে যাবে শেষ মুহূর্তের কাছে,
নিজের কাছে আর স্মৃতি থাকবে না কিছুই,
বরং তুমিই স্মৃতি হয়ে থেকে যাবে সমস্ত মুহূর্তের ভিতর।
যেটুকু চোখে দেখা
তার আড়ালেও একটা গ্রীনরুম আছে
সেখানে মুখোশ পরে তৈরি হয় সবাই,
তার আগে থাকে অভিনয়ের চরম রিহার্সাল।
মঞ্চে উঠেই অভিনেতা কাছের হয়ে যায় দর্শকের,
হাসি,কান্না মিলিয়ে যায় দৃশ্যপটে।
অভিনয় শেষে মুখোশ খুলে বেরিয়ে আসে একেকটা মুখ
নিমেষেই পর হয়ে যায় কাঙ্খিত আলোর কাছে।
তবু অভিনয় ভালোবাসি আমরা সবাই।