ক বি তা
আমাদের দেশবাড়ির কথা খুব মনে পড়ে,
আপনজন দুপুরগুলোতে হারীত পক্ষী বুকের কাছে কুব কুব ডাকে
বড্ড মনক্যামনের দিন;
পড়শিবিষাদ এসে ধারে স্বপ্ন নিয়ে যায়
হতভাগা হেসে খেলে দিব্যি বেঁচে রয়।
বাবার পরনের কাপড়ের মতো শাদা পাতা
কতো মমতায় তাতে রূপকথা লিখি,
পিতা-পিতামহ দেখো এসে
কতো সাধ ক্ষেত্রকর্ম স্রোতে ভেসে যায়–
শ্বেতটগরের ফুল ফোটে বুঝি আজও
মার আঁচলের ধন পিতলা গোপাল
মেঘঢাকা শাড়ি, খোঁপাফুল, সিন্দুরে মাজা মুকুতার হার
কালের গর্ভে ধূলা…
আজ চক্ষু দিয়ে জল পড়ে গরম ভাতের স্বাদে,
কিছুতেই পিয়াস মেটেনা
খোঁড়া গর্ধবের মতো বয়ে চলি অনন্ত স্মৃতি
শরীর জুড়ে পদ্মের বন,
মৃণালে মৃণালে জড়িয়েছে সাপ।
প্রেমিকার হলুদ কপালে এঁকে দেবে ‘গোধূলির টিপ’,
দুরাশার মতো দিগন্তের কাছে
হাত পাতে রোজ
ওই নবীন যুবক,
যে পাখিরা ঘরে ফিরে যায়
তাদের ডানার দাগ পড়ে থাকে জলে
দিবসের ধুলো মুছে তার কাছে গিয়ে বসে ।
ছুঁয়ে থাকে গোপন যাপন।
চিতল হরিণের মতো প্রেমিকার চোখ,
সেইখানে ঘর বাঁধে যদি–
খড়কুটো জড়ো করে রাখে।
মুঠোচার হাসি খুশি, অফুরান কথা
রাঙা পায়ে রুপোলি শিশির,
বাড়ির সীমানায়
বেড়ে ওঠা দরদী বৃক্ষের সারি,
এলোমেলো স্বপ্নপথ ধরে
হেঁটে যায় সে
বিষাদী আঁধারের মাঝে
ধানের শিষের মতো আলো
ফেলে রাখে বুকের কিনারে।
চন্দনগন্ধী নিশিথের মোহে বুঁদ
প্রেমিক যুবক
চেয়ে চেয়ে দেখে
প্রেমিকার কাঁধ ঘেঁষে ডুবে যায় চাঁদ
দুই পক্ষ, রাহু-কেতু, জোয়ারের জল
তারপর ভোর হয়ে আসে,
একদিন ঠিক
প্রেমিকার হলুদ কপালে
সে এঁকে দেবে ‘গোধূলির টিপ’।