বাং লা দে শে র ক বি তা
তুমি যা পাখির চোখে দেখ
সেখানে আমি ব্যাঙের চোখে তাকাই
তোমাদের মসৃণতায় আমাকে কদর্য দেখায়
দুঃখ কেন মানুষ হতে শেখায়?
[অঙ্গনা চট্টোপাধ্যায় ও অদিতি চক্রবর্তীকে]
বৃষ্টি হলেই পুরনো প্রেমিকারা
বুকের মধ্যে কাতলা মাছের মতো
মাথা উঁচু করে শ্বাস নিতে আসে।
আমি খুব বেকুব টাইপের
ফলে আলসেমি ঝাড়তে গিয়ে
তার ঠোঁটে বঁড়শির কামড় বসিয়ে দেই!
ফাৎনা এখন স্মৃতির দখলে
এই ফাঁকে সে হাবুডুবু খাচ্ছে
আর আমি একটা পুকুর হয়ে টলমল করছি
তীর আছে, ঢেউ আছে
কিন্তু আমার ঠিকানা কোথায়?
চারিদিকে শুধু অঙ্গনা আর অদিতি
আমি বৃষ্টির সঙ্গে গান ভিজিয়ে নিচ্ছি
আমার সারা শরীরে সুর এসে
আলসেমি জমিয়ে খাচ্ছে।
কখনো কখনো মানুষ ঠিকানা ছাড়াই
মহাঠিকানার দিকে চলে যায়?
যারা সমুদ্র দেখতে যায় তারা ঘর হারানো মানুষ
কেন না জলের গায়ে তাদের ঠিকানা লেখা
অতীতের কল্পনায় লেগে থাকে নুন, লোভাতুর স্বাদ
প্রকৃত প্রস্তাবে সবকিছুতে একটা ভণিতা গড়িয়ে বেড়ায়
সকলকে এড়িয়ে চেটেপুটে স্মৃতি খাচ্ছে আঙুল
এভাবে সময় এবং তোমার যাবতীয় সংকলন
আমাকে ফাঁকিতে ঢেকে গুছিয়ে নেবে নৌকার মিস্তিরি
যেন আমি নূহের প্লাবনে দড়ি ছেঁড়া বাছুর এক
গৃহের দাসত্বে ফেরা ছাড়া আমার কোনো ভবিষ্যৎ নেই!