ক বি তা
খসে পড়তে পারে পুরোনো দেওয়াল
মন্দিরের ঘন্টাধ্বনি- একটা নক্ষত্র ফুটেছে দক্ষিণ বারান্দায়
মগ্ন মগ্ন পাখিদের চোখে নিশ্চুপ অন্ধকার
কাকভোরে কফিন আসবে- বারান্দায় হরিদ্রাভ শোক
বুকে অক্ষুণ্ণ রেখে দিয়ে যাই সরীসৃপ ক্লান্তি
এই তো জাফলং রঙের মতো
জলে গভীর হয়ে আসছে দিন- ম্লান আর কালো
তুমি কি এখনও চিনতে পারলে না আমায়?
বিগত জন্মের রক্তারক্তি মেঘ-
জরাজীর্ণ ঠোঁটের ভিতর খুঁড়েছিলাম বাসন্তীঘন সঙ্গীত!
এখনও নির্বিকার ধুনোর গন্ধে
দাহ হয়ে যায় জন্মান্ধ ভোর
চোখের নরমের ভিতর
একবার অবগাহন করতে দাও…
মগ্ন প্রেম মাধুকরী করতে করতে অনন্তজন্ম বিষাদ পেরিয়ে এলাম।
প্রতিটি সূর্যশীত গোধূলি, শোক-উৎসবের মতোই গাঢ়!
তোমার কফিন ছিঁড়ে বেরিয়ে আসছে
মগ্ন পেরেকছাপ আর রজনীগন্ধার পচনদেহ,
এখানে রুগ্ন রুগ্ন দাম্পত্যের চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই।
সিঁড়িঘর লবণাক্ত। হিমকুণ্ডলিত গাঢ় শীতল…
বৃষ্টিপাত-ঘনজটিল স্তব্ধ শোক
এখানে উল্লসিত জনতা নিহত দেওয়ালে-
পেচ্ছাপ করতে কার্পণ্য করেনি কখনও।
একদল কুকুরের নগ্নসঙ্গমের ভিতর দিয়ে
সভ্যতা এগিয়ে যাচ্ছে।
লালারস দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে চন্দ্রগ্রহণ,
শ্রাদ্ধধূপের ঝাঁঝালো গন্ধ আর নির্বিবাদী ক্ষত।
রুমালে বেশ্যাবাড়ির স্মৃতি, গা ভর্তি উদ্বাস্তুজন্মের লাঘব।
মনস্তাপ, বিশুদ্ধ কুয়াশার মতো নিঃসঙ্গ।
তোমার কফিন ছিঁড়ে বেরিয়ে আসছে আদতেই মাংসবিনিময়…
জিহ্বার অতলান্ত গভীরতা ছাড়া যা আর কোথাও নেই!