গু চ্ছ ক বি তা
অ গ্নি রা য়
আমাদের সন্ধ্যা দুপুর ও রাত
এক
সন্ধ্যামণি জুড়়ে বাগান ছড়িয়ে আছে আর সঙ্গে ছড়ালো মায়ের দীর্ঘ কেশভার, বারাসত লোকালে নেমে বাস পাল্টে ফিরে এক কাপ চা ততক্ষণে হয়ে গেছে বাবার, দিদি আর আমার হাতে ধুপকাঠি ধরিয়ে দিদা গোটাচ্ছে আসন আর বাতাসা প্রসাদে, আমরা দুই দৌড়ে, বাড়িতে সন্ধ্যা দিয়ে এসে লোভী মুখে দাঁড়িয়েছি দিদার কোলঘেঁষা মধু ঝরছে তখন ধুপ, দীপ ও আসনে, যেন সংঘর্ষবিরতির চুক্তি হয়ে যাওয়া তিন কামরার মধ্যে আনন্দধারা বইছে আমাদের পাঁচজনকে ঘিরে অনন্ত
দুই
ঋতু বদলের কথা রচনা বইয়ে পড়ার ঢের আগে কোনও এক ভোরে ডাল ধরে আলতো ঝাঁকুনি দিচ্ছে দিদা, পোয়াতির ব্যথা যেন না লাগে, সঙ্গে রয়েছে ল্যাজকাটা আর তার পাশে আমি হাফ প্যান্ট ফুলের মতো বৃষ্টি তখন শাদা হচ্ছে মাথায়, পাড়ার কোনও রেডিওতে কে ধরেছে আহির ভৈরব, সামনের দিঘীতে তেল মেখে ঝাঁপ দিয়েছে সটান, এবার জাগছে রিক্সা, বাতাসে কুলোকুচি সারবে পাখি, আর আমি মাথা নিচু করে কুড়িয়ে নিচ্ছি সব, মধুসূদন দাদা এসে দাঁড়িয়েছেন পুকুরের ধারে উনি দেখছেন, দিদার কোঁচড় ভরে যাচ্ছে, শিউলির ঘ্রানে
তিন
শীতের জাতক জন্মে গুড়ের উৎসব শুধু পায়েসের গন্ধে বান ডাকছে সকাল থেকে আশপাশের কার্ণিশ, গলি, পড়শি জানালার কাছে গর্বিত সংবাদের মত সেই জন্মের ঋণ রযে গেছে। প্রিয় বন্ধু আসে হাতে ক্যাম্বিস বল, রূপোলী মোড়কে এল সিন্দবাদ নাবিক, এক পেট খিদে নিয়ে অলিভার টুইস্ট, সে জানে পিতলের থালা আজ প্রদীপের মতো সাজিয়েছে মা বাটি চাপা বাসমতী স্বর্গ, গোল বেগুনভাজা, মাছের ত্রিকোণে সোনালী শৈশব, স্নেহ, রূপকথা কিছু কম পড়ছে না! এক সপ্তাহ পক্ষীমাতার মতো খুঁটে খুঁটে সাজানো, অলিভার, তুমি তো জানো, এসব জন্মের আগে ঘটেনি কখনও, জন্মের পরেও ঘটেছিল কিনা, আজ তার নাগাল হয় না আর
চার
নির্ধারিত বাস থেকে বাবা আর নামল না যেই ধরে নিতে হল, এবার কি তবে খুঁজতে হবে সেখানেই, যেখানে পাইপের দাগ, রাজ কাপুর-নার্গিস জাগা রাত, আমার ব্যাট কেনার দুপুর, আমার তুমুল স্বর্গ, পাপ? প্রতিটি বইয়ের প্রথম পাতায় হস্তলিপি জুড়ে এখানেই বাবা থাকে, কাছে কিংবা দূরে। ক্রিকেট ম্যাচের বিকেলে নাকি পরীক্ষা শুরুর ক্ষত, আকাশ থেকে ঝরছে যা, সে তোমার বাজনা অবিরত। সেই সুরলোকের মধ্যে খোঁজা ভিন্ন, কিশোর কী-ই বা পারে? পোকাতে কাটলে বায়ু, অস্থিরতা মনে, আজও রাতে ঘুম ভেঙে মনে হয় তার বাথরুমের অন্ধকার পার হচ্ছে, হাত ধরে বাবার।
আরও পড়ুন...
তিলোত্তমা বসুআমার চোখ যেভাবে তোমাকে দেখে তোমার চোখ আমাকে দেখতে পায়না দুজনের মাঝে তবু যমুনা... READ MORE
কোথায় কিবারাকপুর স্টেশন পত্রিকার তৃতীয় বার্ষিক সংখ্যার উদ্বোধন READ MORE
অনিন্দ্যসুন্দর পালকবি পিনাকী ঠাকুর সেই শিশুমনকে ছোঁয়ার দূরহ কাজটি অতি অনায়াসে করেছেন তাঁর একটিই মাত্র ছড়ার বই... READ MORE
শিবাশিস মুখোপাধ্যায়চা একটু বেশিই খেত পিনাকী। জীবনের অনেকটা সময় সামান্য টিউশনি ছিল তার জীবিকা, চা-পাঁউরুটি ছিল তার... READ MORE
অগ্নি রায়সন্ধ্যামণি জুড়়ে বাগান ছড়িয়ে আছে আর সঙ্গে ছড়ালো মায়ের দীর্ঘ কেশভার, বারাসত লোকালে নেমে বাস... READ MORE
সোম রায়চৌধুরীপছন্দের বই । গানবাঁধানো বাড়ি । সুদীপ্ত মাজি READ MORE
সুবোধ সরকারবাংলা আকাদেমিতে যখন তোমার শরীর এলো আমি তোমার নিথর পায়ের দিকে তাকিয়ে ছিলাম ফুল দিয়ে ছিলাম... READ MORE
সুরঞ্জন রায়তোমাকে আবার দ্যাখো জড়িয়ে ধরেছি শেষ বার যেভাবে কান্নার রঙে জাপ্টে ধরেছিলে…তারপর কত যুগ... READ MORE
সব্যসাচী সরকারযে কোনও ঢেউকে বরাবর ভয় পেয়েছে জোকার। ডাইনি আবার উল্টো। সাঁতার না জানলেও নুলিয়ার হাত ধরে... READ MORE
রিনি গঙ্গোপাধ্যায়পাশের বন্ধু আত্মজীবনীর পাতায় ওদিকে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে! ধরেও ফেলল শেষপর্যন্ত। ক্লাসশুদ্ধ সবাইকে বলে... READ MORE