গু চ্ছ ক বি তা
এক
রিঠেচুল ভিজতে লাগে তিন মিনিট
অ থেকে হাতের কবল
সত্যি হবে যতবার এলোমেলো জল ফেলার ঘরে
মেঝে পেতে লাল হওয়া ইস্তক
শিউরে উঠবে ততক্ষণ
ইতুশেষ সংক্রান্তি ভোগ, ছেলেদের পাতের হরফে
জমে ওঠে মাছের পিঠের হাড়, একটুকুন শিং চেয়ে থাকে
গোলাপের মতো অবিকল মজন্তালির মুখে ধর্ষণের সুখ যদি লেখা থাকে
রিঠেচুল দুমড়ে মুচড়ে আনি গোল নিকষ হাঁড়ির খোয়াবে
পাঁজি বলছে, মঙ্গলে মনখারাপ হলে বিষ্যুদবার অব্দি গড়াবে
দুই
আশরীর হেমাঙ্গ বিশ্বাসের সুর
নিশিডাক, শ্যাওলার কালোসবুজ ত্বক
চিকচিকে, অক্ষরের ভূত নামে কাঠবিড়ালির পায়ে
দুই হাতে খাদ্য চেপে দুপুরের দানা কুড়োয়, খায়
হিমপল্লবের শিশিরে স্নান থামে শিমফুলের
রগড় দেখছে মৌটুসি, টুনি পাখি পেখম ছড়িয়ে সুর তোলে
ডালের পিদিম জ্বেলে জোনাকির ডানা ভেসে
কোন্ দূর হারিয়ে যায় থিরথির্ জলটম্বুর
মৌজঘরে আমরা দুই পাপ ঘাপটিয়ে আছি
ডাঁটো হবে যবনের ঘুম, স্বামীসুখ পরিবৃত হয়ে
এয়োতিরা পায়রার খোপে তার ব্যর্থতার ডিম থুয়ে
চেল্লাবে। জরায়ু মটকে পাবে মেয়েবেলার ছাই
দুন্দুভি বাজে না আর, রসকল্পবল্লীর জর্দাপান
বাসি নিখুঁতির মতো খটখটে, ঠোঁটের আখায় ঠোঁট
রয়ে রয়ে বাসনের মুড়ো ধরে দাঁত মাজি, শালি!
কাসুন্দি বয়াম সাজে দিদিমার হাতে, শাড়ির পাড় সমেত
বীর্যের মুখে ঠেসে দিই, ইষ্টনাম নিতে নিতে বছর পেরোই
বুঝি, জোয়ানবেলার রোগ— কিছুতে টস্কাবে না
তিন
দ্বিতীয়বার ডাক এল। তিনভাগ রক্ত আর এক ভাগ সফেদ
নিয়ে জেলির মতো ছিটে দেওয়া যোনিমধু যখন আসছিল
দাপনায় মা ঠাকুমার পপলিনের ব্লাউজ কেটে অশ্বশক্তির হার
বৃদ্ধির ওষুধ খাওয়ানো হোত আমাকে। অবোধ হাতে
ক্ষীরের সুতোয় পাক দিয়ে, পায়সান্ন চেখে খাবার শখ।
মৃত টেলিফোনে বহু বছরের হ্যালো, জেগে আছে নাসপাতি
ডালের হরিষে; গাছসই, পলাশপাতার মতো খরখরে দুই পায়ে
শীত এসে দিয়ে যায় সাজা
চার
আবলুশ কাঠের জানলায় অমাবস্যা এলে সুরকি পথ মাটির আতসে
কাঁপ ধরে,
তূরীয় আঁধার হবে বলে রাত্রিহীনতায়, জল্লাদের শিখা জ্বলে নেভে
সুর মরে
শবাকার সরস্বতী একা তাঁর শরীর শকটে রেশমের ফেনায় মূক ও বধির
হয়ে দেখলেন
রাঘব বোয়ালেরা জীর্ণ।
কেবল পাঁচির জঠর থেকে নির্গত সদ্যোজাতিকার কান্নার ‘আ’ এইমাত্র
ভূমি স্পর্শ করেছে।