ক বি তা
হৃদয়ে কবিতা এলে শিয়রে তুলে রাখি তোমার ঋতুময়ী স্যানিটারি ন্যাপকিন।
অক্ষরে অক্ষরে তখন হেভি ফ্লো। অপেক্ষা করি, কখন দুমড়ে মুচড়ে অসাড়
হয়ে যাবে তলপেট!
শরীরে কবিতা নামলে আষাঢ় আসে পাহাড়ের ঢালে। পুরুষ যখন প্রেমিক হয়ে ওঠে,
ঠিকঠাক মতো, তারাও ঋতুময় হয় একদিন। ঋতুরক্তে পেজমার্ক দেওয়া থাকে
অসময়ের কবিতায়…
পুরনো ইস্কুল বাড়িটার সামনে দাঁড়ালে আকাশটা নিচু হয়ে আসে।
যেখানে হেডস্যারের ঘর ছিল, তার ওপর দিয়ে একটা বড়সড় বেজি
দৌড়ে যায়। খেলার মাঠ জুড়ে কবাডি খেলে সপ্তর্ষিমণ্ডলের নক্ষত্ররা।
নবম শ্রেণির যে ব্ল্যাকবোর্ডে ব্যাঙের পৌষ্টিকতন্ত্র এঁকে যত্ন করে
বুঝিয়েছিলেন জীবনবিজ্ঞান স্যার, তার গায়ে খোলস ছেড়ে গেছে
কালো খরিশ…
ফেরবার সময় দেখলাম, বাথরুমের পাশে, যেখানে আমরা সবাই
ভিড় করেছিলাম একদিন, ক্লাস নাইনে পড়বার সময়, একটা গিঁটবাঁধা
কন্ডোম পাওয়া গিয়েছিলো বলে, সেখানে একটা কদমফুলের গাছ
ডানা মেলেছে। ডালগুলো ঝুলে পড়েছে কদমফুলের ভারে…