গু চ্ছ ক বি তা
যে কোনও ঢেউকে বরাবর ভয় পেয়েছে জোকার। ডাইনি আবার উল্টো। সাঁতার না জানলেও নুলিয়ার হাত ধরে এগিয়ে যেত। ঢেউ কি ওকে চুমু খেত? নাকি ও-ই ঢেউয়ের শরীরে এঁকে দিত গোপন চুম্বনচিহ্ন? থার্ড ওয়েভ যখন ক্ষ্যাপা মোষের মতো ধেয়ে আসছে, মাঝে মাঝেই মাঝরাতে ঘুম ভেঙে ছাদে চলে যাচ্ছে জোকার। চাদর মুড়ি দিয়ে।
তারপরে চোখের সামনে একটা লাল কাপড় নাড়াচ্ছে। শান্ত মাতাদোরের মতো। বলছে, আয় দেখি, কতখানি দম…
তার জন্মদিনে কেক কাটার সময় ডাইনি ঠিক কার দিকে তাকিয়েছিল, তা নিয়ে দুশো তেইশটা প্রশ্ন আছে জোকারের। কিন্তু সে চেপে রেখেছে। কারণ হাতে বেলফুলের মালা জড়িয়ে সে যখন ধুতি-পাঞ্জাবি পরে ইতিউতি ঘুরে আসে, ডাইনির কাছে সে অন্তত ৩০ শতাংশ ছাড় আশা করে। পাপ-পুণ্যের এই মাদারি কা খেলে শীতের সন্ধের কিছুই এসে যায় না। কুয়াশার ফাঁক গলে সে ঠিক লেপের মধ্যে ঢোকে, অবৈধ খেলা করে গোপন আঙুল…
কে কোথায় পৌঁছবে, সরু গলি-মুখে সে সেব লেখা থাকে না। কে কোথায় টর্চ ফেলে ব্যথা উস্কে দিচ্ছে, সেই সব কানামাছি খেলার মতোই আশ্চর্যজনক। তবু জোকার নেমেছিল মঞ্চে। ডাইনিকে টুস্কি দেওয়ার ইচ্ছে তো ছিলই, সঙ্গে চেয়েছিল অক্সিজেন। যখন-তখন যাকে-তাকে নিয়ে ফষ্টিনষ্টি করার। বাজার জমছিল, তালিও বাজছিল। হাতে স্যানিটাইজার স্প্রে করতে করতে খেয়ালই করেনি, বেডরুমে প্রায়শই ঢুকে পড়ছে যৌনতার ধ্বংসাবশেষ…
উইন্ডো শপিং করার ফাঁকেই মেয়েটির দিকে চোখ রাখে ক্ষুধার্ত জোকার। একাই তো। প্রেমিক কি কাছাকাছি আছে? বারবার ইতিউতি তাকানোটা কীসের ইশারা? সন্দেহ গিঁট পাকিয়ে ঢুকতে থাকে জোকারের মাথায়। সে আমল দেয় না। উসখুস করে। অন্তত পাঁচ লক্ষ বছর পরে তার বিষাদগ্রস্ত স্যাঁতস্যাঁতে ফুসফুসে ভাইরাস ঢুকছে। পরকীয়ার তীব্র গন্ধে সে আবার বেঁচে থাকার কথা ভাবছে…