Hello Testing

4th Year | 3rd Issue | June-July

৩০শে আষাঢ়, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | 16th July, 2023

প্রচ্ছদ কাহিনী, ধারাবাহিক গদ্য, ছোটোগল্প, গুচ্ছ কবিতা, কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস, স্বাস্থ্য, ফ্যাশান ও আরও অনেক কিছু...

গু চ্ছ ক বি তা

অ রি ত্র  সো ম

মিছিল ১

বাইরে খটখটে রাত। মরাগাড়ি, ধুয়ে মুছে

অবিকল বেরিয়ে গেল

এখন সেখানে সংসার গড়ে নিয়েছে সারমেয়

 

বস্তির আগুনের ছিটে এদিকেও আসে

দেখে, মানুষের দল হেঁটে হেঁটে

রাস্তা ডিঙোচ্ছে 

খাল পেরোল

        হেঁটে

                  হেঁটে 

                             হেঁটে

pujo_16_sketch2

মিছিল ২

মাটির ওপর যাতায়াত শামুকের, মাতৃসম

যে ছোঁড়া এতক্ষণ ধরে দেখেছিল এসব

বাবার কোটর থেকে

বীজটুকু তুলে

বসিয়ে দিচ্ছে শামুকের পিঠে 

 

ভুলে যাচ্ছি কবিতার কথা 

pujo_16_sketch2

পরমান্ন

ঘন চাদরের ভেতর দুটো কাক ডেকে উঠলে

অজিতেশ মাছ ধরতে যায়

নিজের পরমান্ন বড়শিতে গাঁথে— ফাতনা ডোবে

এই অবস্থায় গর্ভবতী মাছ, 

একে অন্যের দিকে তাকিয়ে থাকলে

পুরুষেরা এগিয়ে যায়

মানুষের স্বাদ এই আকালেও, চিনে গেছে তারা

 

ঘোলা জলে, সাঁতরে ওঠে অজিতেশ

বুকে ক্ষরণ আসে— বুঝতে পেরে, দূর থেকে 

কাঁঠাল পাতা নিয়ে আসে ভোলা সন্ন্যাসী

নিজের নুনপোড়া মাংসের সাথে সেসব খেতে খেতে

অজিতেশ বাবা হয়;

প্রসব বেদনায়, গাছের গা থেকে

                                    পাতা গড়িয়ে পড়ে

 

ফাতনা ডুবে আছে জলের ভেতর

ভেতরে, পোড়া গন্ধ লেগেছে

pujo_16_sketch2

আঠেরো নম্বর বেড

এখানে ভেসে আসে সবই; সধবার গা থেকে

খুলে পড়ে সন্তানস্পর্শ— একেকটা জন্মদাগ

কবিতার পাতার মতো মনে হয়

এসব মুহূর্তে কারা যেন ঢুকে পড়ে প্রতিবার

তাদের রোঁয়া-ওঠা হাত, অনর্গল তাকিয়ে থাকে

আমার অস্বস্তি হয়, আমার নাভিপথ ভরে ওঠে

                                             অনন্ত ক্লান্ত জলে

 

বেমালুম মুখিয়ে থাকি আকাশে—

কীভাবে ফিরে যায় স্বাধীন পাখি, তাদেরও তো

ফিরে যেতে হয় জীবনের নিয়মে

তবে কেন আবডাল প্রত্যাশা নীহারিকা? 

যারা ডুবে থাকে একগলা জলে, তাদেরও কি

হারিয়েছে জন্ম? অভিশাপ বিলোও শ্মশানে, আদরে? 

আপাতত এই আঠেরো নম্বর বেড থেকে

আরও দূরে এক অশ্বত্থ চাতালের পাশে

দেখা যায় পাগলের সংসার

পাতা পড়ে, পাতা আসে

পাগল ফেরে না আর, গাছের দিকে তাকিয়ে

কেবল মুখিয়ে ওঠে, খিস্তি খায়। হাসে… 

 

আর কড়া আলো

যন্ত্রপাতির ভিড়ে— কেবল ভুলে যাই

                              আমাদেরও নাকি গ্রাম ছিল

pujo_16_sketch2

গরাদ থেকে বলছি

যারা কাঁদে, খুব বিড়ি খায়, আর বাজি হেরে ফিরে যায় খালি ঘেমো ঘরে — হিংসা হয়। ওদের কাঁচাপাকা চুল দেখলে নাভি অবধি জ্বলে ওঠে। মনে হয় — দারুণ কিছু বমি করি। ভাসিয়ে দিই রাতের থালা; সান্দ্র আবর্তে কিছু সস্তা চটি জেগে উঠুক। মাঝরাতে কেঁপে উঠলে, সান্ত্বনা দেওয়ার মতো কোনো ওড়না থাকবে না — এই সহজ সত্য স্বীকার করে 

আমি ডাকবাক্স খুলে ফেলি 

 

                          আয়না দেখেননি এখনও? 

 

তবুও ওই ঠোঁট চেটে শুয়ে পড়া লোকগুলোকে ঘেন্না করি। ঘুমের মধ্যেই ওরা নাভি চুলকোয়। আলো ঘেঁটে যায় স্বপ্ন ঘেঁটে যায়। মাঝেমধ্যে মাথার ওপর উঠে বসে অবসন্ন মথ — এদিকে ডাকবাক্স ভেঙে আছে বিছানায়। পরের দিন, পেচ্ছাপের রঙ হলুদ — খদ্দেরের থুতু লেগে থাকে পান মশলার প্যাকেটে — বাসি চাট আর নোনা বিড়ির গন্ধে — মহামারী বলাৎকার। কাঁচাপাকা মুখ ঘষে দশ টাকা বাজি, অতঃপর

দেশ হেরে যায়

দশ হেরে যায়

সানশেডে গুঁজে থাকে আপদের চিঠি, পোড়া ছবি, জাহান্নাম… 

 

বটুয়া থেকে সাবলীল ঝরে পড়া চিতার ক্ষত, দগদগে

আরও পড়ুন...