ক বি তা
আমার শরীরে লকলকে আগুন, পোড়া কাঠের গন্ধ। কৃষ্ণ হয়ে বাঁশিতে সুর তুলতে পারিনি রাধে, হিমুর দেওয়া নদী মাঝে মাঝে বুক পকেট থেকে কিঙ্কিণী রিনিঝিনি শব্দ করে ওঠে, আমি একলা বসে থাকি ছাদের এক কোণে সারারাত। মন খারাপে কতোবার তোমার কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়েছি স্বপ্নের ভিতর আর মাইগ্রেনের যন্ত্রণায় কাবু হয়ে ঝগড়া করেছি একা একা –
মাথা ঘুরে হাঁপানি, নিঃশ্বাস বন্ধ
হঠাৎ আবার যন্ত্রণা, গর্ভধারিণী মা ব্যথায় জর্জরিত দীর্ঘ নয় মাস, নাভিকুণ্ডলী পেকে এসেছে। প্রসব বেদনা বেড়ে চলছে, বারো হাত কাপড়ে পেঁচানো মেয়েটি স্বপ্নে আসে,
বুকের তাজা রক্ত বাঁ পাশের ধক ধক ধক শব্দ
কিছু দহনে
স্বপ্ন পুড়ে যায়
এই শোনো, এইবার শীতে তোমাকে ঘুরতে নিয়ে
যাবো পাহাড়ের দেশে
পাহাড়ি রোদ গায়ে মেখে তুমি তোমার মতোই
কখনো সখনো গুনগুন করে গান করো
কনকনে শীতে আমি আর একটু চেপে ধরবো
হাত, ডালিম ফুল ছুঁয়ে দেবো তোমার সুন্দরী ঠোঁটে
দাঁড়াও সখী… পথে পথে, চারদিকে তুষার-বৃষ্টি
আমি যদি মনে মনে আকাশ আঁকি বা স্নো-ফল আর মন… হেঁটে যাচ্ছি দু’জনেই হিম যুগে, তুমি জ্বালো হাজার হাজার প্রদীপ
বুঝলে অপরাজিতা
এই শীতে, না হয় পরের শীতে আমরা যাবোই
যাবো পাহাড়ের দেশে