ক বি তা
বেজে যাচ্ছে ন’টা দশটা; ছাপ ছাপ আঁকিবুঁকি কাটা— ঢালাই রাস্তার ধারে খিস্তি দিচ্ছে তেলেভাজা দোকানদার। গুঁড়ো গুঁড়ো মসলার টুকরো ছড়িয়ে দিচ্ছে রাস্তায়, কোথায় যে হারিয়ে যাচ্ছে নিদ্রাভাঙা ঝিঁঝিঁ গানের সুর—
বাতাসে আর্দ্রতার কারণে ঘামের ছাপ ফুটে উঠছে টিশার্টের গায়ে, ভেজারাতের যাত্রা শুরু হয়ে গেছে— বিউটি পার্লারের মাথায় চাঁদটা মেঘে ঢাকতেই ছনছন শব্দ; সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসছে যৌনতার প্রলেপ দেওয়া মুখ
কতদূর মাঠ, কতদূর ফুল, অফুরান আবছা শরীর
কী দেব রাত্রিকে— নির্জনের পথটাই স্রোত নেয় জ্বালাময় বিশ্বের দু-চোখ!
জল ভেসে যায় বাল্বের ভাঙা ভাঙা ইলেকট্রিক নিয়ে
দাদু বলতেন— এর নাম শিয়াল তাড়ানো বৃষ্টি
যদিও প্রচণ্ড অন্ধকার থাকে মেঘ ঢাকা সন্ধে আর আমাকে অনুসরণ করে খোকনদার লিকার চা, ছিঁচ কাটা বেঞ্চি থেকে পিঠে পড়া গুঁড়ো বৃষ্টি ঝাড়তে ঝাড়তে হাত ভেজাচ্ছি, ভেজা মতবাদগুলি মনে আসছে না কিছুতেই—
কোনো পায়ের ছাপ নেই— গড়িয়ে যাওয়া ঘোলা জলে কংক্রিট ভাইরাস; অথবা আমি কীই বা ধারণ করতে পারি নিজের নগ্ন শরীরে, তবে কি গড়িয়ে যাবার কাল এসে দাঁড়িয়েছে ইলেকট্রিক পোস্টের নিচে
এসব এগিয়ে যাবার কাল— সমস্ত নোংরামো নিয়ে কাদা মুছতে চুমুক দিতে থাকি সুতীব্র আত্মহননে!