ক বি তা
‘অপেক্ষায় থাকুন’… বলতে বলতে সন মাস দিন
কীভাবে যে কেটে গেল! শুঁয়ো থেকে প্রজাপতি রূপ,
পাখা মেলতেই…ওমা! কমলেকামিনী, আমি চুপ!
দেখে যাই কতো কতো লেখাফুল সহাস্য রঙিন।
তবে কিনা পরিবেশ ঠিক যদি থাকে, বাঁচে দেশ…
মনেরও লালন হয়। গৃহে, লক্ষ্মীমাতাস্বরূপিনী।
এই তো আনন্দব্রত, ভালোবেসে মিলেমিশে থাকি।
সীমানা পেরিয়ে ওই পাখা মেলে উড়ে গেল পাখি
ফের যদি ফিরে আসে, জগন্নাথ, গাঁয়ের কাহিনি
তোমাকে বলিব। শোনো, এখনও তো অপেক্ষায় আছি
গোপনে অলীক চিঠি, সম্পাদনা, আঁধারকানন…
যতদূর আলো-ছায়া — ততো দূর বাংলাভাষামন
কিভাবে আলাদা করো আওলাদ? লেখা নিয়ে বাঁচি।
বাংলা তো একই দেশ। ভাগ হয়? সোনার হরফ!
আমিও অপেক্ষা করি, বাকিটুকু, পাখি জানে সব…
এতো এতো অক্ষর। জলফাঁসে কিছুই থাকে না।
আমারও স্ফুর্তি হরে যায়। ‘প্রকাশেতিহাস’ শব্দটি
নিয়ে গত তিনদিন অলিখিত অন্ধকার,
ফলে প্রশস্ত রাজপথও মুখ ফেরায়।
অবাধ্য অনুকরণ নাকি অনুসরণ— কোনও আকাশই
তো আর নির্মেঘ নয়— জলও আকারহীন।
কার কাছে যাই? ধ্রুবতারা, সপ্তঋষি, কালপুরুষ…
প্রাচীন দুয়ারে সব স্মৃতিচিহ্ন ছায়া। দরজা অবধি
এগিয়ে দেবেন সে-নির্মোহ, সে-নিঃশব্দ মহান
ভাগ্যে বিরল। পথের ধুলোয় কেবলই অশান্ত মিলিয়ে
যায়। দৃশ্যত প্রদর্শন, এতো এতো অক্ষর…
জলফাঁসে কিছুই থাকে না — না-সমুদ্র-তিমির-নীলতিমি…