ক বি তা
প্রাগৈতিহাসিক ক্লান্তি নিয়ে নীলকণ্ঠ পেরিয়ে চলা কাছিমের খোলটিকে দেখছিলেন বজ্রযানী। সহসা দর্পণ জ্ঞানে বিসর্জনে উড়াল দিতে গিয়ে তাকালেন গঙ্গাতীরে। অযুত সমুদ্র পেরিয়েছেন যাঁর আঙ্গুল সম্বল করে প্রথম ও শেষ নশ্বর বিশ্বাসে, তিনি শুয়ে অদ্ভুত রাজবেশে। মোহনা ছাপিয়ে অভিষেক উপচার সিক্ত করছে পট্টবস্ত্র, যেমত আদরে গড়িয়ে নামে হেম হইতে মাধব। মায়াসমুদয় গোপীবৎ অনাহুত দাঁড়িয়ে দূরে, স্মৃতিরাস। চক্রমুদ্রায় অমোঘ জ্বাললেন প্রাকাম্য শোক। ভষ্ম হাতে স্মরণ করলেন যেহেতু যে কোনো নাভি নিরঙ্কুশ অন্ধ অতএব প্রতিটি জন্ম মূলত ঘোষণা করে ব্রহ্মের ব্যর্থ প্রসব। অনন্ত অন্ধকার এখন আচমনকাল, থির আলোয় প্রকট হচ্ছে রথ, আসন নেবেন মহাগুরুনিপাতযোগ।