গু চ্ছ ক বি তা
স্বীকারোক্তি
মুগ্ধতা পেয়েছি বলে, মগ্ন হতে পারিনি কখনও
এসব বোঝো না তুমি। বুঝতে হবে না কোনোদিন
বরং সাজাও গ্রাফ, সাবধানে স্লোপের বিস্তার…
নইলে তো পন্ড হবে শ্রম, অচিরে উঠবে ভুল
আমার ভুলের পাশে, দেখি, ঝুলে আছো আজও;
কখনও প্রশ্রয় দাও, কখনও সরাও নিজহাতে
মুখের বাঁ-পাশ থেকে দু-গাছি ও চুল…
ছাপ
বরং, ব্লেডের দাগ ফুটে থাকে কিছুকাল ধরে…
বলেছি, লিখেছি কত কথা স্পষ্ট গোপন অক্ষরে—
একবার অন্তত আসুক বন্ধুত্ব ভাবনা ছেড়ে
বসুক নাহয় ম্লান; প্রকাশ্যে লাগে না সব কথা
তবুও নিছকই প্রেম
এভাবে কি কখনও গড়ে না?
ব্লেড, রক্তদাগ, ক্ষয়—ফুটিয়ে তোলাই তবে সত্য?
বান্ধবী তোমার যদি সে, কখনও কবিতা পড়ে না?
খেলাপ
হেরে যেতে, হেরে যেতে যেতে
আমি তো খুঁজেছি রোজ, তুমিও কি না পেয়ে কাতর?
বিষণ্ণতার গায়ে লাগা এটুকু জমাট দেখি
বাকিসব মৃদুমন্দ
হাসি, গান, হুল্লোড় ও আঘাত…
দূরত্ব তৈরির মধ্য দিয়ে, আর যা যা উঠে এল
সেসব কি অনুরাগ? নাকি প্রতিবাদ?
অতঃপর
তোমাকে পেয়েছি ভেবে
উচাটন বৃষ্টিদিনে, ক্রমশ দিঘির জলে নেমে
ঝাপসা দেখেছি সব
উপরে যা স্পষ্ট ছিল খুব…
তোমাকে পেয়েছি আদৌ?
নাকি এ সমস্তই নিশ্চুপ?
আদতে এসেছে দ্বিধা; দ্বিধার পিছনে আসে ভয়…
কবিতা? নাকি ওষুধ?
কার কাছে এ-বিপদে সাহায্য নিতে হয়?
দোষ
তোমার জীবন থেকে তবে
আমাকে কি সরে যেতে হবে?
শেষে বিসর্জনে, তা তো যাওয়াই যায়…
হাবুডুবু খেতে খেতে রোজ
মাটি তার কাঠামো হারায়…
তোমারও তেমনি ভ্রম
এ-কাঠামো ফাঁকা দেখে, এল নাকি দয়া?
ওহে! দয়াপরবশ মেয়ে, মন দিয়ে শোনো—
এতদিন জলে ডুবে কীভাবে ছিলাম ভয়ে
তোমাকে কি বলেছি কক্ষণও?
বিশ্বাস
তোমাকে চেয়েছে আরও যারা
তাদেরও চেয়েছি আমি
নইলে এই প্রতিযোগিতাকামী দিনে
হারাব কাকেই আর তুলব কলার?
বিস্মিত চশমা মুছে দেখো মন দিয়ে—
কেবল তোমাকে ছাড়া
কারোর কাছেই হারিনি আমি আর…
মুখোমুখি
ইশারা কিছুটা আরও জমাট করাই যেত বটে
করিনি নিখুঁত তবু। বুঝেছি, মেধাবী দৃষ্টি আছে
তারই পাছে পাছে ঘুরে
থেমেছি যেখানে ভয় না-পাওয়া ঘিরে…
যাইনি তবুও ফিরে— কিছুটা সময় দিও
শান্তিতেই বসো তুমি আর
চোখে যদি পড়ে রোদ
আমাকে তোমার শুধু সামনে ডেকে নিও…
না-হওয়া
যেকোনো সম্ভাবনাহেতু আমাদের দেখা হল;
হল-ই যখন, বাড়াবে হাত? সমুদ্রের দিকে?
সমুদ্রে আমি হাঁটুজল। সামান্যই তো
শিখেছি খেতে; বাড়েনি তাই খিদে…
অবিশ্বাসে ভাবছ ভীরু?
ওরে হারামজাদি
তোর জন্যই কাব্য লিখি;
নাছোড় কোনো জিদে