Hello Testing

4th Year | 3rd Issue | June-July

৩০শে আষাঢ়, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | 16th July, 2023

প্রচ্ছদ কাহিনী, ধারাবাহিক গদ্য, ছোটোগল্প, গুচ্ছ কবিতা, কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস, স্বাস্থ্য, ফ্যাশান ও আরও অনেক কিছু...

গু চ্ছ ক বি তা

কৌ শি ক   সে ন

কনফেসান

তোমাকে বলিনি যেকথা। কুহকমিলনে ভেসে গেছে

অন্তর্দাহ। মালিকানাহীন বাস্তুভিটে একলা দাঁড়িয়ে থেকেছে

রৌদ্রের অপেক্ষায়। চান্দ্রমাসে বিফলে গেছে অদেখা অভিসার।

 

বলা হয়নি। যে সুখ পুষে রেখেছিলাম আদিম মন্দিরগাত্রে,

বিষাক্ত হয়ে উঠেছে তাও!  আস্ফালনে যে কোকনদ প্রত্যাখ্যান

করেছিলে, একদিন মানুষের জলহাওয়া পেয়ে সুগন্ধ ছড়াবে

অরুপকথার।

 

পাতার আদলে যেসকল কিংকর্তব্যবিমূঢ় নক্ষত্র হাওয়ায়

ভেসেছিল, সকলকেই ফিরিয়ে দিয়েছিলাম একদিন, তোমারই

প্রত্যাশায়। এসব কথা বলা হয়নি এতকাল।  আজ বলছি…

pujo_16_sketch2

মোহদানব

পাড় হয়ে যায় ঘন জারুলের বন, সুদীর্ঘ তট রেখা।  মাধবীকুঞ্জে

বেঁধে রাখা রিপুগ্রন্থি খুঁটে খায় বেলা দশটার কাঠবিড়ালি।  কোনো

স্পর্শসুখ নেই, এই প্রকাণ্ড হাঁমুখ গণ্ডগ্রামে।  আলজিভে ক্ষতচিহ্ন।

তবুও পেড়িয়ে এসেছি ভাদ্রের দুপুরের একপেট ক্ষুধা, ঝোলভাতের মায়া।

 

ফিরে তাকালে দূর থেকে আবছা দেখতে পাই ছেড়ে আসা জাদুলন্ঠনের

আলো।  কান্না আসেনা আর!

pujo_16_sketch2

সিফিলিস

আকাশ থেকে নেমে আসছে কৃষ্ণবর্ণের পুরুষ

এসো, মর্দন করি!

 

গণিকাপথ থেকে যে অটোরিক্সাটি এসে ফেঁসে আছে

আলোকিত অণ্ডকোষে, সেখানে এক অলৌকিক মিনাবাজার

বসে প্রতি সন্ধেয়, বিকিকিনি হয়। গমগম করে…

 

ওকে বোলো, অন্তর্বাস ছেড়ে যেতে, সবথেকে তেজী ঘোড়ার

আস্তাবলে। কুড়িয়ে আনবো ঘন কালো সুখ। কোনো ব্যাধিকেই

ভয় পাইনা আর!

pujo_16_sketch2

প্রদাহ

যন্ত্রণার মুখোমুখি দাঁড়ালে তপ্ত কাঞ্চনবর্ণা হয়ে ওঠে পৃথিবী,

মাটির টানে টানে কাব্যিক হয়ে ওঠে স্বর, পুড়ে যাওয়া উদ্যানে

নষ্ট পরীদের চলাচল।  মালসায় পূর্বনারীদের নাভিভস্ম।

 

যন্ত্রণার মুখোমুখি দাঁড়ালে গর্ভধারণ করে কবিরা।  নির্দয় সঙ্গমে

কারা যেন রক্তবীজ ছড়িয়ে দেয় তাদের রোগজর্জর রাতবিছানায়।

শব্দে শব্দে স্পষ্ট হয় অব্যক্ত রমণদাগ।

 

যন্ত্রণার মুখোমুখি দাঁড়ালে অনাবৃষ্টি নেমে আসে শস্যশ্যামলা

বসুন্ধরায়।  শকুনে ছিঁড়ে খায় মঙ্গলকাব্যের উত্তরভাগ।  মাটির

গভীর পর্যন্ত খনন করলে কোনো প্রত্নসুখ নেই, প্যালিওলিথিক

অস্থি ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যাবেনা!

pujo_16_sketch2

ওয়াচ টাওয়ার

পুরুষগন্ধ থেকে বেরিয়ে আসে মিনারের কবিতা। 

সাময়িক সুখ, মধ্যরাতের রমণচিহ্ন, পেঁচার বদ্বীপ

ছেড়ে ভেসে আসে সামুদ্রিক আকাশবার্তা। মেঘে

মেঘে বেলা হয়।  পুরনারীরা কলস ভরে নেয়

রিরংসার জলে।  ঋতুরক্ত ভাসিয়ে দেয় গভীর প্রবাহে।

দূর পাহাড়ের ওপাড় থেকে ভেসে আসে সুর, পলাতকা

গান্ধর্বী রমণীদের বৃন্দগান।

 

চিল উড়ে যায় অজানায়।  শুধু পুরুষগন্ধি কবিতার

নামটা জানা হয়না কখনও!

আরও পড়ুন...