গু চ্ছ ক বি তা
তোমাকে বলিনি যেকথা। কুহকমিলনে ভেসে গেছে
অন্তর্দাহ। মালিকানাহীন বাস্তুভিটে একলা দাঁড়িয়ে থেকেছে
রৌদ্রের অপেক্ষায়। চান্দ্রমাসে বিফলে গেছে অদেখা অভিসার।
বলা হয়নি। যে সুখ পুষে রেখেছিলাম আদিম মন্দিরগাত্রে,
বিষাক্ত হয়ে উঠেছে তাও! আস্ফালনে যে কোকনদ প্রত্যাখ্যান
করেছিলে, একদিন মানুষের জলহাওয়া পেয়ে সুগন্ধ ছড়াবে
অরুপকথার।
পাতার আদলে যেসকল কিংকর্তব্যবিমূঢ় নক্ষত্র হাওয়ায়
ভেসেছিল, সকলকেই ফিরিয়ে দিয়েছিলাম একদিন, তোমারই
প্রত্যাশায়। এসব কথা বলা হয়নি এতকাল। আজ বলছি…
পাড় হয়ে যায় ঘন জারুলের বন, সুদীর্ঘ তট রেখা। মাধবীকুঞ্জে
বেঁধে রাখা রিপুগ্রন্থি খুঁটে খায় বেলা দশটার কাঠবিড়ালি। কোনো
স্পর্শসুখ নেই, এই প্রকাণ্ড হাঁমুখ গণ্ডগ্রামে। আলজিভে ক্ষতচিহ্ন।
তবুও পেড়িয়ে এসেছি ভাদ্রের দুপুরের একপেট ক্ষুধা, ঝোলভাতের মায়া।
ফিরে তাকালে দূর থেকে আবছা দেখতে পাই ছেড়ে আসা জাদুলন্ঠনের
আলো। কান্না আসেনা আর!
আকাশ থেকে নেমে আসছে কৃষ্ণবর্ণের পুরুষ
এসো, মর্দন করি!
গণিকাপথ থেকে যে অটোরিক্সাটি এসে ফেঁসে আছে
আলোকিত অণ্ডকোষে, সেখানে এক অলৌকিক মিনাবাজার
বসে প্রতি সন্ধেয়, বিকিকিনি হয়। গমগম করে…
ওকে বোলো, অন্তর্বাস ছেড়ে যেতে, সবথেকে তেজী ঘোড়ার
আস্তাবলে। কুড়িয়ে আনবো ঘন কালো সুখ। কোনো ব্যাধিকেই
ভয় পাইনা আর!
যন্ত্রণার মুখোমুখি দাঁড়ালে তপ্ত কাঞ্চনবর্ণা হয়ে ওঠে পৃথিবী,
মাটির টানে টানে কাব্যিক হয়ে ওঠে স্বর, পুড়ে যাওয়া উদ্যানে
নষ্ট পরীদের চলাচল। মালসায় পূর্বনারীদের নাভিভস্ম।
যন্ত্রণার মুখোমুখি দাঁড়ালে গর্ভধারণ করে কবিরা। নির্দয় সঙ্গমে
কারা যেন রক্তবীজ ছড়িয়ে দেয় তাদের রোগজর্জর রাতবিছানায়।
শব্দে শব্দে স্পষ্ট হয় অব্যক্ত রমণদাগ।
যন্ত্রণার মুখোমুখি দাঁড়ালে অনাবৃষ্টি নেমে আসে শস্যশ্যামলা
বসুন্ধরায়। শকুনে ছিঁড়ে খায় মঙ্গলকাব্যের উত্তরভাগ। মাটির
গভীর পর্যন্ত খনন করলে কোনো প্রত্নসুখ নেই, প্যালিওলিথিক
অস্থি ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যাবেনা!
পুরুষগন্ধ থেকে বেরিয়ে আসে মিনারের কবিতা।
সাময়িক সুখ, মধ্যরাতের রমণচিহ্ন, পেঁচার বদ্বীপ
ছেড়ে ভেসে আসে সামুদ্রিক আকাশবার্তা। মেঘে
মেঘে বেলা হয়। পুরনারীরা কলস ভরে নেয়
রিরংসার জলে। ঋতুরক্ত ভাসিয়ে দেয় গভীর প্রবাহে।
দূর পাহাড়ের ওপাড় থেকে ভেসে আসে সুর, পলাতকা
গান্ধর্বী রমণীদের বৃন্দগান।
চিল উড়ে যায় অজানায়। শুধু পুরুষগন্ধি কবিতার
নামটা জানা হয়না কখনও!