ক বি তা
অমাবস্যার রাত জুড়ে নৌবিহার। নগর গণিকার ঘুঙুরে বেহুলার অশ্রু ঘাম
মৃদঙ্গ বাজিয়ে একা ফিরে আসে নাগরপুরুষ। গৃহস্থ সংসার ঘিরে সাপেদের ফোঁস
ধুপশোক অভিশাপ তখন পূর্বাপর পাপ—
আমি তুমি হেঁটে যাই দেহপল্লবে বৈষ্ণবী রং
কত কাল কেটে গেলে আমাদের রাত নামে
নদীতে ধুয়ে ফেলি পা, মুছে যায় সব
আদৌ মোছে না অভিশাপ গাথা! লুপ্ত ঘ্রাণে দেখো অনন্ত অসুখ
ডমরু বাজিয়েছেন তিনি, নারীদের ব্রত ঘিরে গুহাচিত্র কলা
শিকারি ফিরেছে দূর, হরিণ ভুলেছে সে ‘আপনা মাংসে হরিণা বৈরী’—
এসব ক্ষণিক মুহূর্ত, শিঙায় ফুঁ দেন পূর্বপুরুষ পিতা
আমি তুমি সুখ মাখি, গুছিয়েছি বৃক্ষপূজা উপাচার
পদ্ম আলপনা ঘিরে আমাদের আজন্ম বিশ্বাস—
তারও পরে সাপুড়ের বীণ নাগমাতার দীর্ঘশ্বাস ঘন হয়,
আমাদের শরীরে আগুন নাগরিক যাত্রা বিলাপ
সবকিছু তুলে রাখি ছড়িয়ে দেই যব ভুট্টা গম
বিষ খাই, জল খাই দেহের গভীরে বাঁশি বাজে অমলতাস ফুল