ক বি তা
যে মুহূর্ত থেকে বোগেনভিলিয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছ তুমি। বিষণ্ণ কাঠজোড়া নেমেছে আন্দোলনে। অথচ দীর্ঘ এক পরিখার আড়াল নিয়ে শুরু হয়েছিল ঘৃণা পুষে রাখা। শো মাস্ট গো অন বলে যেই এগিয়েছ, অমনি খপাৎ করে অন্ধকার ভেদ করে তীর এসে ললাট চুম্বন। দাগকে পাশে রেখে হাঁটো। আরও গভীরে যদি যেতে চাও, যাও। নক্ষত্রমণ্ডলী জুড়ে স্বাতীলেখার ছায়া। উদ্দেশ্যহীনতায় কে বাঁচে।
আমাদের প্রত্যেকের যে কেনা গ্রহটা আছে, সেই চেনা অরবিটে জন্ম নেয় বালিরেখা। কেউ জানে না আঘাতের নিরাময় কি। এক ফোঁটা আর্নিকা, নাকি পটাশিয়াম সায়ানাইড। কত শত দায় নিয়ে রাখো আজকাল। কলতলায় ঝগড়া নেমে আসে। একটা কাকের ডানায় ছিটে রঙ লেগে আছে তবুও। তবে কি বসন্ত চিরকালের! দ্বন্দ্ব চিরকালের! এক পেট খিদে নিয়ে তাকিয়ে থাকে অচেনা বেড়াল।
আমাদের অনেক কথা বলার আছে। ডাল-ভাত-রুটির একটা জীবন আছে। ভালবাসা আছে শেষ পাতে মিষ্টির মতো।
এই যে তুমি, হ্যাঁ স্কর্পিয়ান তোমাকেই বলছি। কিছু মুহূর্ত এখন জল হয়ে গেছে। কেমন দ্যখো জলের মতো বয়ে চলেছ। যেভাবে সূর্য রক্তের স্বাদ পেয়েছিল একদিন। যেভাবে তোমার স্কর্পিয়ান টেল’স এর ভেতর বয়ে গেছে প্রাচীন টেমসের ইতিহাস।
তোমার চেনা প্রতিদিনের সেই মৃত্যুর দৃশ্যে ভেসে যাওয়া দেখেছি। দেখেছি দক্ষিণ থেকে উত্তরে চলে যাওয়া। দেখেছি এক থেকে বহুগামী গর্ভের নারী ছুঁয়ে ইর্ষাকাতর হতে। এই সিম্বোলিক মৃত্যুর দৃশ্যে আমি বারবার তৃষ্ণার্ত কাকের দেখা পেয়েছি। যার গায়ে ছেঁড়া পালকের গন্ধ।
রক্তের দাগে মিশে গেছে এক বছরের শীত। একটা বড়ো গুহার মতো অন্ধকার সেদিন নেমে এসেছিল পথে। জ্বলন্ত সেই সর্পিল গতিপথে ধুয়ে রাখা কাপ। স্কর্পিয়ান তুমি দাগ মেখেছ গায়ে। তুমি প্রতিটা বসন্ত এলে এক নতুন মৃত্যু ছুঁয়ে দেখেছ। জেনে রাখো সাদা রুমালে সব স্পষ্ট হয়ে থাকে। যাবতীয় ইতিহাস, সার্ফের জলে ধুয়ে ফেলা যৌনগন্ধ। চাপা পড়ে যাবে অন্ধ ভিক্ষুকের নিঃশব্দ চারণে। একটা জীবন, স্কর্পিয়ান জেনে রাখো তুমি, কয়েনের উলটো পিঠ এক নয়।