ক বি তা
চাঁদ ডুবে গেলে বরং স্বস্তি পাই
গাছেদের ছায়া ঢুকে পড়ে শরীরে
নিজস্বতা আঁকড়ে ধরে রাখার প্রচেষ্টায়
সারারাত যুদ্ধ চলে দুর্বলতার সঙ্গে, অবক্ষয়ের সঙ্গে
চাঁদ না ঘুমোলে লুকোতে পারি না মেঘ ঝড় বৃষ্টিদাগ
ঝোপ থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না ঝিঁঝিঁ ঘোড়াপোকা
বাঁধ ভাঙতে গিয়ে থমকে যায় চোখ
এই চাঁদ এতো সত্য শীতল সরল
রক্তের কাজল পরতে পারিনা চোখে
শবের বুকে মাথা রেখে দেখতে পারিনা নক্ষত্রের পতন
দেখতে পাইনা তাকে
যে অন্ধকারের মতো সুন্দর
চাঁদ ধ্যানমগ্ন হও
নির্জন রাতের পায়ে বিধ্বংস খুলে রাখি
কাল যদি সূর্য এসে দাঁড়ায় স্বজনের বেশে
স্তব্ধতার নাম মুক্তি হলে নির্জনে ডুবে যাক কায়া ও ছায়া
একটি নীরবতা কতভাবে শান্তি দিতে পারে সেই চেষ্টায় রাত্রি খনন
কত অশ্রু লালন করে চোখ ছায়াতুর
স্বীকার করে নেয় শবের মুখ, প্রশ্ন কোরো না
মেঘের আদরে বেড়ে উঠুক তুলসী গাছ
আবেগের কোনো পথ নেই
তবু কথার স্রোত অভিমুখ না পাল্টে ভেঙে দেয় স্বপ্ন বিশ্বাস
যতবার মন আঁকড়ে ধরে সবুজ ঘাস, মাটি
আগুন ঝরিয়ে দেয় আকাশ
কে বহন করবে কার ভাঙচুর
অশ্রু ক্ষত শূন্যতা পালকি দোলায় দুলছে রাতভর
শুধু বেঁচে থাক একমুঠো রোদ্দুর ভয়াল মেঘের ফাঁকে–