ক বি তা
“এম. এন. দত্তের টাইপ ইস্কুল
তার উল্টোদিকের একতলা বাড়িটাই আমাদের স্যার”–
সাইকেল থেকে নামলেন নবীন শিক্ষক।
রঙিন মাছের চৌবাচ্চা ঘেঁষে উঠোন,
বদ্রি পাখির খাঁচা
“দেখে স্যার, মাথায় লাগবে–“
পরিপাটি বিছানা
সোফা কাম বেডের ওপর ফুলছাপ বেডকভার
প্লাস্টিকের টেবিলে মলাট করা অঙ্ক বই,
বর্ণলিপি খাতা, নটরাজের জ্যামিতি বাক্স।
একটাই ঘর।
এজমালি বারান্দা থেকে ভাইয়ের অস্ফূট কান্না
“ঘয়ে দাবো, দিদিল কাচে দাবো”
ঘরের ভেতর বাধ্য ছাত্রী
মনোযোগী মাস্টারমশাই
কাচের প্লেটে দুটো মেরী বিস্কুট
চায়ের ওপর পাতলা সর
তরুণ শিক্ষকের সদ্য ওঠা গোঁফে
হালকা হালকা ঘাম–
এটুকুই
ধীরে ধীরে বালির মধ্যে ডুবে যাচ্ছে একটা জ্যান্ত শহর।
জলের ভেতর লুকিয়ে রাখি
দগদগে ঘা, পোড়ারমুখী
ছটফটিয়ে বীজ নামালো
ধ্বংসস্তূপে, সেসব কালো
আলগা পিঠে ঠোঁটের মতো
শুষছে ফসল, দোয়েল-ক্ষত
খেতের বুকে, মাটির বুকে
অচেনা সেই আগন্তুকের
ডাক আসেনি, বয়স ছুঁলো
শস্য কাহন, ধুলোয় ধুলো
দুঃখী মাঠের শুকনো ঘাসে
বৃষ্টি নামুক, বৃষ্টি নামুক–
চৈত্র মাসে