ক বি তা
আমরা আর গাছ হতে পারলাম কই!
একদিন ‘সে’ আর ‘আমি’ মাঝে মাঝেই গাছ হতাম কিছুক্ষণের জন্য। সেই গাছে ফুল ফুটত। পাখিরা এসে বসত। গান গাইত। কোথা থেকে একটা বাউলও জুটে যেত বেহালা শোনানোর জন্য। সেই সুর আমাদের নিয়ে যেত কোন এক প্রাচীন চুটিয়ানাগপুরে। যেখানে ঘর করত আমাদের বুড়াবাপ বুড়ামাঈ। আমরাও গাছ থেকে সাপ হয়ে যেতাম কয়েক মিনিট। পাহাড়ে অরণ্যে ছড়িয়ে দিতাম আমাদের ভালবাসার খোলস।
তাঁর মাথায় এখন রক্ত।
আজ আমরা কেউই গাছ হতে পারি না
সাপতো নয়ই।সংসার কেড়ে নিয়েছে গোলাপি রঙ
হাফ দশক বর্ষা চলে গেল
আমরা কেউই আর গাছ হতে পারলাম না
আমাদের কোন ঘর নেই
আমরা অপরের জমিতে ঘর বাঁধি কদিনের জন্য
আমাদের কোন জমি নেই
লোকের জমিতে ফসল ফলাই, আলু লাগাই
আমাদের কিইই বা আছে?
অরন্যের কাছে হাত পাতি বারবার
গরাম ঠাকুরের দয়ায় অধন বসে চুলায়
সবাই একদিন ফিরে যাব নিজের ঘরে
তবুও আমরা রক্ত ঝরায়
পালক ওড়াই হিংসার
খুন করি অরন্য, পাহাড়, মানুষ
সবাই ভুলে যায়
কদিনের জন্য কুটুম এসেছিলো ধরিত্রীর কাছে
আবারো একদিন ফিরতে হবে মাটির ঘরে
রেঙ্গাবুড়ির ছোট্ট কুটিরে