Hello Testing

4th Year | 3rd Issue | June-July

৩০শে আষাঢ়, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | 16th July, 2023

প্রচ্ছদ কাহিনী, ধারাবাহিক গদ্য, ছোটোগল্প, গুচ্ছ কবিতা, কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস, স্বাস্থ্য, ফ্যাশান ও আরও অনেক কিছু...

গু চ্ছ ক বি তা

শি বু   ম ণ্ড ল

ভয়

হাঁড়িতে জল ও মোটা চাল একসাথে ফুটছে

স্যাঁতস্যাঁতে রান্নাঘরে নত হয়ে আছি

বুদবুদের শব্দ-তাড়নায় মাঝে মাঝে

টিপে টিপে দেখছি সেই ভাত হতে থাকা দানা

 

মায়ের স্নেহ ও পিতার উদাসীনতাকে সাক্ষী রেখে 

মাঝ বরাবর চিরে গিয়ে প্রবেশ করে উত্তাপ ও জল

ভাত রসবতী হয়, ক্ষুধা নিরাময়ের উপযুক্ত হয়

সেই তাড়নায় আমরা বড় হতে থাকি

 

শিশুকাল, যৌবন, বার্ধক্য শেষে জরা 

খিদে মরে গেলে কী নিয়ে বাঁচবো আমরা?

pujo_16_sketch2

শীতঘুম খুব একটা খারাপ নয়

শীতকাল এসে গেল

এখন মহাদেশ থেকে মহাদেশে পাখি বিনিময় হবে

উলের উষ্ণতার পরিবর্তে লম্বা গলাওয়ালা সারসের

ক্রেঙ্কার ধ্বনিতে মুখরিত হবে সরোবর থেকে

গৃহস্থের ইচ্ছেবাগান। আমি আনন্দ পাবো!

সারসের সাদা শরীরের ওইটুকু হলুদ ঠোঁট

দেখে কবিতা বলে ভ্রম হবে। তবু আনন্দ পাবো!

কিন্তু ওই যে শীত ও ডাক; যেন পারস্পরিক সৌহার্দ্য বিনিময়

দুটোই ভীষণ অসহ্য!

মাঝে মাঝে মনে হয় সারস, তার ঠোঁট, তার ডাক ও শীত-

এসবের থেকে সাপের শীতঘুম খুব একটা খারাপ নয়। 

pujo_16_sketch2

একা হতে চেয়ে

 একা হতে চেয়ে একলা আমি নির্জনে বসে বসে দেখি

একটি গভীর কুয়ো; যার কোনো তল নেই

সেখানে ভেসে ওঠে কত মুখ, কতশত ঘটনা–

প্রথমে আসে ভালো না– লাগাগুলো, কর্মস্থলের

খণ্ড খণ্ড চিত্র; তার দৈনন্দিন যেন না ফুরানো দ্বন্দ্ব।

কিছু অবয়ব যাদের আমি ঘৃণা করি, কিছু মুখ

যারা আমাকে ঘৃণা করে বা হয়তো করে না; কেবলি আমার কল্পনা।

 

ব্যথার দুপ্রান্ত আঘাত লেগে মুড়ে যাচ্ছে,

গোল হয়ে ঘিরে ধরে আমাকে। চক্রাকারে ঘুরতে থাকে

তারপর ধীরে ধীরে আসে ভালোলাগা মুখগুলো, তারা সব

ক্রমশ নদী হয়, পাহাড় হয়, গাছপালা,পাখির ডাক হয়ে যায়।

 

আমার বাঁচার মধ্যেই এদের সকলের বাঁচা

আর আমার মৃত্যুতে এরাও সকলে মৃত! ভাবতে ভাবতে    

শেষে ভাবি- এই যে একলা হতে চাওয়া

একা আমির মধ্যে বহুত্বের চলে আসা  আবার চলে যাওয়া– এসবের কী অর্থ?

pujo_16_sketch2

খোঁজ

বিলুপ্ত ভাষায় লেখা গ্রন্থের মতো হারিয়ে যাওয়া একটি বাড়ি খুঁজছি। ছেঁড়া ছেঁড়া পাতার মতো মূল্যবান কিছু উদ্ধার হয় মাঝে মাঝে। তার ভাষা বোঝার চেষ্টা করি। একটি কুয়োর বর্ণনা। একটি বাগানের বর্ণনা। ঘর ও কুয়োর মাঝে একটি কাঁটাতার।যেতে হলে যেতে হবে গুহার মতো একটি পাথরের ফাটল দিয়ে। পেরলেই বাগান! বাগানের মাঝখান দিয়ে একটি সরু রাস্তা। বাগানটি ছোট। সব্জিতে ভরা। পায়ে লুটিয়ে পড়ছে গোলমরিচের লতা। রান্নাঘরের পেছনে একটি পেঁপে গাছ কিছুটা ভূমির সমান্তরালে চলে উঠে গেছে আকাশের দিকে। মাতৃস্তনের মতো ফলগুলি নিম্নমুখি। তারপরে বাঁশের বাতা দিয়ে বানানো একটি গেট সেজে আছে শ্যামাঙ্গী শিমে। যেতে যেতে তাদের স্পর্শ তোমার গালমুখ ছুঁয়ে যাবে। একটু দূরে পথের মাঝেই একটি লাউমাচা। ডুগডুগি হতে চাওয়া বোষ্টম বোষ্টমি লাউ যুগলে সাধনারত। এইটুকু পথ যেতে হবে নিচু হয়ে ঝুঁকে। তারপরেই কুয়োটি…

pujo_16_sketch2

প্রলুব্ধ

যে রাতপোশাক তুমি পড়ে আছো

আমি সেটি দেখছি না

আমি দেখছি তার আড়ালে থাকা অবয়বটিকে

যে অবয়ব নিয়ে তুমি আমায় প্রলুব্ধ করো

আমি সেই অবয়বও দেখছি না

আমি দেখছি অবয়বহীনতাকে

তুমি যত কাছে আসো রাতপোশাকের একশ শতাংশ

শুদ্ধ সুতিগন্ধ নিয়ে, তোমার ঘামের গন্ধ নিয়ে

আমি টের পাই- তুমি নও, কোনও অবয়বহীনতাই আমাকে প্রলুব্ধ করছে! 

আরও পড়ুন...