ক বি তা
কতশত কথার ভিতর থেকে যায় মানুষ
আর মানুষের ভিতর থেকে যাওয়া কতশত কথা
খোলা দরজা, টানা চৌকাঠ থেকে–
এক একটি দৃশ্য ফিরে যায় তার নিজস্ব আয়নার দিকে, প্রতিবিম্বের দিকে
মানুষ আসলে এক স্মৃতি-অন্ধ প্রাণী
আয়না, প্রতিবিম্ব আর চৌকাঠের ধূসরে, স্থির বেজে যায়।
শীত সেই কোমল কলি,
সামান্য ওমে গলে যায় জমাট, ফুটে ওঠে পশমিনা ফুল
আহত রোদকণা মেখে এক শীতার্ত যুবক, কোনো গৃহস্থের নিকোনো উঠোনে অপেক্ষায়…
তার শ্বেতাভ বস্ত্রের শিরায় ফুটে উঠেছে বৈরাগ্য ধ্বনি, অভিজ্ঞান আলো
সেই আলোমায়ায় বিভোর, অপলক চেয়ে থাকে এক সদ্য কিশোরী
কালো চোখ বেয়ে তার নেমে আসে আত্মজিজ্ঞাসা
বলে, ‘হে অভিজ্ঞান, এত আলো! এত স্নিগ্ধতা!’
তুমি কি তবে জেনেছো তাকে?
এ প্রশ্ন ঘুরে ফেরে হাওয়ার মুখে, হেঁটে চলে একা অভিজ্ঞান যুবক
তার ঝুলি থেকে ঝরে যায় আলোর ছায়া
থৈ থৈ উত্তুরে হাওয়ায়, উড়ে যায়, গলে যায়, পুড়ে যায়, শীতের কলি।