ক বি তা
চাঁদ ওঠেনি। বৃত্তাকারে ঘোরা রমণীকুলের সাদা কপাল
কয়লা হয়ে জ্বলছে আর
আলো হয়ে নিবেদন করছে
যন্ত্রণাদায়ক জ্যোৎস্না
পাহাড় বলো পাথর বলো কেউ কথা বলে না
ওরা কেউ বোবা নয়
যাবতীয় ব্যথা শিলালিপি হয়ে
সারা বছর বৃষ্টিতে ভেজে
সমুদ্রের তীর ফাঁকা। নিঃস্ব বললে ভুল বলা হবে
সমুদ্র সংহিতায় ছোট ছোট গ্রামগুলো
ঢিবির মতো উঁচু হয়ে আছে
কেউ কেউ নিমেষে নিঃশেষ হয় তুবড়ির মতো
শেয়ালের চোখ জ্বলে নিভে যাচ্ছে
বিড়ালের চোখ, সেও তো জ্বলে নিভে যায়
শান্ত হয়ে আসে সমুদ্র
অন্তরতম অস্থিরতা থেকে ভেসে আসছে কামনাসঙ্গীত
নিমজ্জমান ঘাটের সিঁড়িতে সাদা ঘোড়াদের স্নান
ওপারে স্তনযুগলের অলিন্দে বসে
মরা ইঁদুর ছিঁড়ে খায়
একাকী দাঁড়কাক
বিকেল! তারপর তো সারা রাত্রিও
কতদূর যাবে জানিনা
কত কত দূর, শুধুই টগবগ টগবগ টগবগ
ঘোড়ার স্নানদৃশ্যে স্তনজোড়া ঝুঁকে আসে
স্থির জল; আপনা থেকেই দরজা খোলে
জানালাগুলোও একে একে খুলে দেয়
কাক নেই। ইঁদুরও
আবার সে কখনো কাক কখনো বা ইঁদুর
ভক্ষক-ভক্ষিতের মধ্যে পারস্পরিক অপলাপ
মাথা নীচু, কিছু বলার অপেক্ষায় পরিত্যক্ত পাঠশালা