ক বি তা
কোনওরকম ঝঞ্ঝাট ছাড়াই গুঁড়ি থেকে
মাঝ অবধি উঠেছি অনায়াস।
তার পর থেকে ওই উঁচু উজ্জ্বল ডালের দিকে
তাকিয়ে বসে আছি দীর্ঘ।
তাকে একটু ছোঁয়ার আশা; মনোময়ের
প্রত্যয়ী কর্মগুলো আমার সমস্ত কোষসমূহকে
অহরহ সঞ্জীবিত করে রাখে।
অনন্ত আকাশের তলায় একলা; মাঝে মাঝে
শরৎ মেঘে ভেসে যাওয়ার হাতছানি;
কখনও বা চাঁদিফাটা রোদে গলদঘর্ম,
আবার শীতল বাতাসে বিগলিত প্রাণ!
ধৈর্য ও হতাশার অসহনীয় বিন্দুতে দাঁড়িয়ে
আমার ওঠা বজায় রাখা নিমগ্ন মন মাঝে-মাঝে
বলে ওঠে— কতোভাবে তো চেষ্টা করেছিলে!
দেওয়াল বাওয়া শিখতে পেরেছিলে? পেরেছিলে।
চলেই যখন এসেছ
উদ্যানে কিছুক্ষণ বসে যাও।
বাইরে মাথার ’পরে চাঁদিফাটা রোদ!
পায়ের তলায় খোয়াওঠা রাস্তা,
উদ্যানে আছে গাছের ছায়া,
সবুজ মখমল ঘাসের গায়ে সুনিবিড় শান্ত গন্ধ!
এসো, কাছে এসো ওদের- বসো,
কথা বলি স্পর্শের গাঢ় প্রশ্রয়ে; নিরুচ্চারে!
বলতে বলতে বলা সহজ হয়ে এলে
আসা সহজ হবে তখন।