ক বি তা
আমাদের অনটনের অনতিদূরেই বসে থাকে ক্ষুধার্ত বিড়াল
জানালা ছাড়িয়ে বৃষ্টির গভীর থাবার শব্দ শুনি বসে বসে—
উনুনের ধোঁয়ায় ভরে ওঠে ঘরের বিষণ্ণ জঠর
এমন অভাবের দিনে
ফুটন্ত হাঁড়ির পাশে
বসে থাকে ক্ষুধার্ত বিড়াল
অতিথি নেই কোনো
দ্বারে আসেনি কোনো আলোর শরীর
আছে শুধু দেওয়ালের কোণে কোণে
মাকড়সার কান্নাজাল
দর্পণের সামনে দাঁড়ালে ভেসে ওঠে
মায়ের জীর্ণ ছায়া— মুখের উপর
অন্ধকারের এক শাশ্বত মিথোজীবিতা
আজকাল খেতে বসে যেসব কথা বলে মা
প্রতিটি কথার পেছনে টিকটিকি ডেকে ওঠে
এমনই শূন্যতার দিনে
মায়ের কান্নার পাশে
বসে থাকে কবন্ধ বিড়াল
মাথা নোয়াতেই হয়
কিছু দরোজার সামনে
যেগুলি আমাদের থেকে
নিচু।
প্রথম কিছুদিন মাথা ঠুকে যায়
কিংবা যায় না।
তারপর অভ্যাস হয়ে যায়।
আর সেই অভ্যাসবশত
কখন যে দরোজার ভেতর
কেটে যায় জীবনের অনেকটা…
একটি ছায়াগান। একটি আশ্রয়-সঙ্গীত
কোথা থেকে যেন ভেসে আসছে—
বৃষ্টির আগের ঠাণ্ডা বাতাস
শোনাতে আসছে আর একটি বৃষ্টিজখমের কাহিনী।
ঝড়ের ছদ্মবেশে এলেও সব বাতাস ঝড় নয়
তা-ও, ছাদ থেকে তুলে নেওয়া ভালো
মুড়ির চাল, ঘুঁটে আর অন্তর্বাস।