ক বি তা
আমার যন্ত্রণাপ্রসূত মস্তিষ্ক থেকে বেরিয়ে
আসে নীলবর্ণ শৃগাল, কাঁচা হলুদ রং গিলে
করা পাঞ্জাবি আর আনকোরা সকাল।
সবুজ পাতায় লেখা ইষ্টনাম কার্যত কতোটা
সম্ভব, অঙ্কে মেলে না হিসেব, পূর্ণিমার চাঁদ
জানে চাঁদ বেনের নৌকা চলাচল।
‘বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী’ এ প্রবাদ মধ্যযুগে
হয়নি বাস্তব, সবটাই ছিল নাকি মনসা-কৌশল।
এসবই যন্ত্রণাপ্রসূত মস্তিষ্ক সে যুগের কাব্য
বিলক্ষণ।
গোধূলির শেষ হাওয়া কেমন ক্লান্ত নিথর
আপাদমস্তক ঝুঁকে আছে যেন বর্ণময় পটে।
স্মৃতিচারণমূলক এটুকু উচ্চারণ প্রাপ্য ছিল
বুঝি!
অভিধানগত কোনো ত্রুটি ছিল না কোথাও
জ্যামিতিক অনুভূতি, শয়নে স্বপনে কোনো
আদেশনামা কিম্বা লিখনের বাড়াবাড়ি।
গাণিতিক পদ্ধতিতে এসবের হিসেব নিকেশ
গোধূলির শেষ হাওয়া কীভাবে ক্লান্ত নিথর
হয়, কোথাও নেই তার সঠিক পরিক্রমা।