গু চ্ছ ক বি তা
উঠোনে আঁচল পেতেছে আগুনরঙা রোদ।
মুহূর্তের পাশে অপেক্ষা,
অলীক পাবার আশায় স্থবির ব্যাকুল।
কী জানি কখন চুপিসারে আসে সে,
পাছে তন্দ্রা জড়ায় ঘোর
অভিমান ফিরে যায় ফিসফিস ডেকে
অতন্দ্র থাকি, নিজেরই ডাকে সাড়া খুঁজি বারবার।
মোহবুকে কতোকাল কেটে গেছে এইখানে
কে রাখে সে খোঁজ!
একবার সহৃদয় বুকে এসো, দেখো
ভাঙা কুঁড়েটিতে
মাটির আসন সাজিয়ে রেখেছি
চন্দন ঘ্রাণ প্রেমে।
বাঁধন যা কিছু ছিল একটানে ছিঁড়ে
আর সব পথ ভুলে চলে এসো প্রেমের পরাগ
কামিনী হাওয়ায় একবার ছুঁয়ে দাও বুক,
কাঙ্ক্ষিত স্পর্শের পাপে
ঈশ্বরী হবো সেইদিন।
নির্ধারিত কালটুকু সমাপন হলে
পরিযায়ী কানে ভাসে ঘরে ফেরা গান।
নির্ধারিত অভিসার শেষ হয়
মনোমুগ্ধকর দৃশ্যপট বদলায় দ্রুত,
এখন সময় তাই ঘরে ফিরবার।
শীতলতা ছুঁয়ে গেছে রক্তের স্রোত,
তঞ্চিত প্রকোষ্ঠ বহতা
চেয়েছিল একবুক ওম।
দুরন্ত বালক,
আপন খেয়ালে গচ্ছিত উষ্ণতায়
পুড়িয়েছ জীর্ণ যা কিছু।
রংচটা তোরঙ্গ খুলি
মায়াস্মৃতি যতনে সাজাই,
দিন গুনি, মাস গুনি,
অপেক্ষায় থেমে থাকা পথ।
শীতকাল এলে,
উষ্ণতার খোঁজে লিখে রাখি লুকোনো শপথ।
পুড়ে যায় স্মৃতি, শোক
খাঁ খাঁ উঠোন রোদ্দুরে বুক পেতে ছুঁতে চায় মায়া,
কাটাকুটি খেলা।
কুমির ছোঁয়ার শেষে
পড়ে থাকে স্তব্ধ দুপুর।
কে ডাকে কিশোরী ঘাটে আগের মতন?
অশরীরী কান্নার গানে
জলছবি ফিকে হয়, জেগে থাকে ব্যথার শরীর।
ভেসে যায় বিষাদ আয়ু, ধূসরতা
কথকতা দিন।
সীমানারও দূর থেকে ফিরে আসা যায়!
নিগূঢ় প্রণয় দু’হাতে আঁজলা ভরে,
আশাহত চেয়ে থাকে, নির্বাক…
জন্মান্তর যদি আসে,
প্রণয় অভিলাষে
দু’টি চোখ জ্বেলে বসে থাকি!
পূর্বজন্মের স্মৃতি বুকে কিশোরী ঘাটে
কে ও হেঁটে যায় নিঝুম দুপুরে?
কাঁচ জলে ভেসে ওঠে তার অবয়ব
পরজন্ম মোহ ভুলে
মুখোমুখি আলোর কিশোর…
বিদায় সংরাগ জানে
ফিরে আসার আগে যে বিরহটুকু
তার রেশ কতটা গভীর,
লালচে আভায় ফোটে
কাতরতা ঠিক কতখানি!
ফেলে আসা শৈশব
ওই দূরে রেললাইনের ধারে হাঁটে,
হাতছানি দেয় মাঝেমাঝে
হয়তো বা মরীচিকা, ভ্রম।
একে একে জ্বলে ওঠে আলো,
ঘরে ঘরে মঙ্গলশাঁখ।
কোলাহল শেষে ঘরে ফেরে একলা পথিক
কেউ এসে ধুয়ে দেবে ক্লান্তির দাগ।
আলোকবর্ষ ধরে ছুটে যাই পথ থেকে পথে
সঞ্জীবনী সুবাস বুকে
সব ক্ষত মুছে দেবে অলীক কিশোর।