গু চ্ছ ক বি তা
মা’র কোনো ঠিকঠিকানা নেই
বাবা ফেরার।
তবে কি হরিণের দীর্ঘশ্বাস থেকে
আমি জন্মালাম?
অর্জুন ফুলের জেদ
আমাকে মানুষ করল?
কেউ কিচ্ছু বলে না।
শুধু জিজ্ঞেস করলে বলে,
‘মার্কো পোলো।’
আমি যুদ্ধে যাবার নাম করে
অঞ্জুর কফিনে যাই
আমি মাছেদের সংসারে গিয়ে
দেখেছি শৈবাল ও অন্ধকার।
রাবেয়া আমাকে ফোন করে।
খুব রাতে
আকাশ ফাটিয়ে ওঠে চাঁদ
আর কিছুই হয় না
শুধু থেকে থেকে—
‘মার্কো পোলো
অ্যাই মার্কো পোলো
অ্যাই…’
কলোনিমাঠ, খাঁ খাঁ শুনশান বাড়ি
দেয়ালে নুপুর
একটি দলছুট ঘোড়া রক্তমণির ঝোপে যায়
মাঝে মাঝে চিৎকার ওঠে—
‘আমি নিশি
মলি আখতারের ছোটমেয়ে
আমি হেমন্তের ষড়যন্ত্র জানি
আমি জানি প্রতারক পুরুষের গা
গায়ের গরম—
আর
শেষ ট্রেনের হুইসল…
যে মৃত
তাকে আমি সন্দেহ করি।
তুমি মৃত?
জিমি?
তোমারই ঘুমের পাশে
জাহাজ নোঙর ফেলে কাঁদে
কতদিন তুমি নেই
নাচের মেয়েটিকে সেই খুন করে চলে গেলে
যেদিন বিদেশে…
যদি একবার সময় করে আসতে। যদি বসতে। মুখোমুখি। তাহলে তো অনেকক্ষণ ধরে কাঁদতে পারতাম।
সেবার কাঠচাঁপার বনে হঠাৎ সব কালো হয়ে গেল। একটা ফাঁকা কেল্লার মধ্যে আমরা হারিয়ে গেছিলাম।
একদিন সারাদিন খুব হৈ হৈ হল। চিৎকার হল। তছনছ হল। একদিন আগুন লাগালাম। একদিন সারাদিন ধরে বিদ্যুৎ চমকালো।
আর কী!
আরেকটা বসন্ত গেল
আমাদের এবারও কোনো বেবি হল না, হানি!