গু চ্ছ ক বি তা
এমনই ভেজার দিন মনে পড়ে খুব—
সাদা পোষাক, ছাতার জল, ভিজে চুল, আর
এরই মাঝে কেটে যায় প্রথম আষাঢ়…
আমিও ভিজেছি কিছু ছাতার তলায় হেঁটে
সেদিন, সায়াহ্নে, মেঘ… দু’চোখে ধু-ধু…
পারতাম কতো কিছু। ঘুম নেই তবু
তৃপ্তি তো চাইনি আমি, তোমাকে চেয়েছি শুধু
এক কবিতার বই থেকে এগোই পরের দিকে
এরই মধ্যে পেয়েছি তোমাকে—
আটকে পড়ার এক দায়
লিখিনি এমন নয়; বোঝোনি, এমনও নয়…
তবুও দেখেছি ফুল
কীভাবে কবরে পচে, আর তার সৌন্দর্য হারায়…
অগত্যা সাবধানতা আনি
পাণ্ডুলিপি সাজাতে সাজাতে
দু’চোখ বুলিয়ে নিই— তোমার ছবিতে
কোথাও কিছুটা যদি ত্রুটি থেকে যায়…
কিছুই আশ্চর্য নয়— এই পুকুর, মৃদু-হাওয়া
যেমন তোমার অনায়াস
গাছের তলায় বসে হেসে ওঠা স্বচ্ছ, অনাবিল
ও-হাসি অবধি ঠিকই ছিল, কিন্তু এরপর
অবচেতনে ঝুঁকেই পড়লে পাশের কাঁধে!
—এ-দৃশ্যের ভারে যে যুবাটি
কাতর অক্ষরবৃত্তে ঈর্ষা জমা রাখে
কিছুতেই আর কোনো কবিতায়
বিশ্বাসটুকুও রাখতে পারছে না সে!
জবাব দাওনি; কিন্তু, এড়িয়েও যাওনি কখনো
পাশে বসো এসে। হেসে ওঠো।
হয়তো কখনো আমি
হয়তো বা অন্য কেউ। অন্য যুবা কোনো…
শুধু ভয় আসে। আসে না সন্দেহ তবু
তোমাকে পবিত্র এতো লাগে
ভেসে থাকতে এতোই কষ্ট!
কখনো তো বুঝিনি তা আগে…
নেহাতই বাচাল নই বলে, প্রথাগত করিনি কিছুই
লিখেছি নিজস্ব কথা— সরল অক্ষরবৃত্ত মেপে
খড়কুটো ছিল যা সম্বল, ভাসিয়ে দিয়েছি হেসে
ভাসতে চাইনি শুধু নিজে;
শেষমেশ মরব জেনেও, নিগূঢ়ে জমাচ্ছি ডুব
আমাকে অগ্রাহ্য করে তুমি কি আনন্দ পাও খুব?
ভেঙেছি ঘুমের মতো হঠাৎ করেই, এলোমেলো;
যেটুকু খুলেছি চোখ— দেখি ঘুম নির্জনতাপ্রিয়
অথচ ঘুমের মধ্যে এসেছ শস্যের মতো!
বিরহী কৃষক আমি, সেই থেকে দিবারাত্র চষি
তাকাই পলকহীন; আর তুমি ফিরে তাকালেই—
আমিও তাকে সম্মতি ভেবে বসি!