ক বি তা
একটা রাত গভীর ছিল খুব
তাড়া করে বেড়ায় সহজ যন্ত্রণায়,
যে দুটো মাংসপিণ্ড ভাব জমায়নি,
ঘেমে উঠেছিল ভীষণ;
তীব্র চিৎকারে ঘুম ভেঙেছিল কাদের?
সাধারণ খাটের এপাশে–ওপাশে
ছড়িয়ে পড়েছিল মায়া; ভালো লাগেনি।
মায়া চিনতে কতোটা প্রেম বিলোতে হয়—
বুঝে উঠতে সকাল হয়ে গেল,
দেখা হল একজোড়া মানব দেহের সাথে;
ও বেলায় আর কথা হয়নি, জানা হয়নি
স্পষ্ট চিৎকারে কেউ জেগেছিল কি না!
দেখা হয়নি—
আমার প্রিয় মানবীর সাথেও,
একেকটা রাত রাজার মতো পিছু নেয়,
সাহসী সৈনিকের মতন চিরে দেয় আমাকে।
আমার মরে যেতে ভালো লাগে
যেভাবে মরে গিয়ে আমি
আবার নতুন করে জন্ম নিই—
ঠিক সেভাবে,
যেগুলো আমি চাইনি কখনও
এই যে, যেগুলো হয়ে চলেছে, দিনরাত
আমার নতুন নতুন মরে যাওয়া!
বিশেষ মন্দ নয়।
ঘর মরে যায়, ছাই হয়ে যায় ছোঁয়া
সন্ধ্যা পেরোলে মরে যায় উলু’র ধ্বনি,
হাতের ভিতর এসে, মনের ভিতর এসে
ডেকে নিয়ে যায় কেউ, শবের দেশে,
আমার এই নিয়মিত শব দর্শন—
রোজকার ভিজিয়ে দেওয়া মৃত্যু,
কারো হাতের মুঠোয় লুকিয়ে নেওয়া ভয়,
স্বভাব পরিবর্তন; মৃত্যুতেও জন্ম সাজায়,
এভাবেই ভালো লাগে মৃত্যু—
নতুন জন্মের নেশা, আমার জীব দর্শন।