ক বি তা
স্বপ্নের মধ্যে এক প্রাচীন গুহামুখ
যার ভেতরে একটি ঘুমন্ত ঘোড়া
আমি পলাশ রঙের পোশাক পরে
ধ্যানমগ্ন হলেই ও জেগে ওঠে
চারপাশটা দেখে নেয়
ঘোড়াটা যেন আমার চলমানতার
ব্যাকরণ বুঝে ফেলে
এ সময়ে নদীর প্রবাহ ওর গা ঘেঁষে দাঁড়ায়
সবুজ ঘাস বহুদিন পর ঘন হয়ে ওঠে
ও শীতল জল পান করে, ও ঢেউ পান করে
জগতপ্রপঞ্চে আশ্চর্য পরব্রহ্মরূপি ঘোড়া
আর তার মায়ার সৃষ্টি হল
আমার রঙ, রূপ, প্রেম, লড়াই, বিষন্নতা সব
ঘোড়াটা একটু পরে ঘুমের গভীরে চলে যাবে
আর ওর লাগামটা তখন শুধু আমার, শুধু আমার
আমি এই পৃথিবীর আগুন থেকে
তেজ তুলে নেবো,
বায়ু থেকে জাদুস্পর্শ
আর স্বপ্নঘোড়া থেকে গতি
আমি এখন কিশোরী জন্ম নিতে চলেছি
আমার জড়ত্ব নেই, বৃদ্ধাবস্থা নেই
শুধু অপার তেজ নিয়ে ছুটে চলেছি
আমার গতি থেকে জন্ম নেওয়া
আমারই সন্তান
করুণার গোলাপি আভায়
পৃথিবী জয় করতে চলেছে,
কিন্নরেরা ওকে আলোর বাঁধনে বেঁধেছে
পৃথিবীতে ও নাকি আলো দেখাবে…
তোমার সঙ্গে কাটানো রাত
প্রতিফলিত আজও ভোরের আলোর উচ্চতায়
এইসব মুহূর্ত আলোর প্রতিসরণের পাশে
সমান্তরালে চলে
যদি এই পৃথিবীর সব বিবাহ
কোনোদিন শুধু আধ্যাত্মিক হয়
অহং এর প্রাচীর ভেঙে
তুমি এসে বসবে
আমার ভোরের কাছে
শুধুই সুখ কিংবা দুঃখের ভিতরে
কেউ কাউকে রাখব না আর
গোটা নগরবীথি জুড়ে
আমাদের চিবুকের আলোর বন্যা বয়ে যাবে
ভগ্নহৃদয় যারা শুধু পুড়ছিলো
তারা বোঝে নি,
এতকাল যতো গোলাপ জন্ম নিয়েছে
তা কেবলই পার্থিব…