ক বি তা
এক
ম-ম ফুল কী দিশায় মাথা নাড়ে এমন অপলক
রিরংসাপৃথুল ভারতের বুকে। দু’হাত চিৎশক্তি আমার সময় খোঁজে হালকা মধু যৌনতায়
গাং জলে দ্যাখেন বাবুসকল। ত্রিনয়নে দেখতে পান, অলক্ত-ভবার্ণবে রক্তের মশকে ভরা ফুলের প্রাণবায়ু কতখানি কম!
সেই সূত্রে মনুষ্যবিহীন দেশে নির্বাসনে দেবে ধূসর হরপ্পার ছায়া। পরধর্মসেবীকে আরশিনগরে তুমি শয্যাসঙ্গী করে নেবে জানি
তোমার চিত্রপ্রকরণ অধুনা বাজার তত্ত্বে অন্ধকারে পা বাড়ালে কলকল করে স্কুল, সবুজ চাঁদের দু-এক কুচি সাইকেলবিধি
ধর্মঠাকুরের ধবল ঘোড়াটি সারল্যবর্জিত গ্রীবার অতিব্যবহারে শীর্ণ অবয়বসহ লাফায় না, নাচে না, ভয়ে পিছিয়ে আসে না। কেউ যদি অকিঞ্চিৎকর গোষ্ঠীকোন্দলে হয় দলছুট, প্রতিসাম্যে কষ্টার্জিত পরিহাসছলে যদি অনুভূতি হয় ফুলের ভ্রুণসম,
অপূর্ণ-অভিমুখী…
রক্ত গোপন করে উচ্চাভিলাষী ব্যাধ। বাজারে কাঁচা মাংস বেচার ছলে কালকেতু ফুলের মুখমণ্ডলব্যাপী ছড়ায় ব্রণ…
দুই
কতদিন পর মায়াবী নাগকেশরের ক্লোনিং-এ ডানা মেলে দোল খাচ্ছে খ্যাপা ভূতেদের প্রতিরোধচক্র। মনুষ্য-ভূত নাকি সরীসৃপসম বেশুমার তৈলচিত্রে অবোধ বরাহ নন্দন! তুষারকুচি না কি কুর্চিফুল ঝরছে তাদের মাথায়
ফুলের কী যায় আসে গণ অভিধানে!
এ জায়গা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে বৌদ্ধ লামাদের গান
অমানুষেরা মানুষের কথা ভাবছে রৌদ্রনিবিড় তালবনে
যাদের কান্না পায় মৃদু যুক্তাক্ষরে, তরল মহুয়ায়
সুতার লতালী ফাঁদে বছিরদ্দি কাকভোরে মাছ ধরিতে যায়
এই বাংলার শহরতলীর মধ্যে তারও একটি শিশ্ন আছে,
সেই তো আলো…
তিন
সেই ফুলে ছায়া হয়, হতে পারে ফুলের তমসা। যার দু’দিকে দেবী ও ভাস্কর। এ পথ সরলরেখায় চোখ বন্ধ করে শুয়ে থাকে। কাজ সারা হাতের ধুলোয় বীতকাম গঠনশৈলী জানা যাবে, সেই পুরনো দিনের আশ্রমে কোন গুপ্তঘড়া তুমি পাতালে নামাও, মেঘের কাঞ্চন ফুঁড়ে। জল-বিভাজিকায় জলের ব্যাঙ, ঘাসের ফড়িং, ঝোপের ঝিঁঝিঁ ফিরে আসছে কালচক্রে
জলের কুহকে বুক থেকে ক্রমশ উপরে ওঠা আঁশবটির গন্ধ। দু’দিকে সরলরেখা মাঝখানে হাজামজা নদী সেঁচে কিছু মাছ লোহিত কণিকা।
জীবিকা নিশ্চিত নয় প্রত্যুষে জিজীবিষা। ভ্রূ-মধ্যস্থ গুপ্ত আঘাতেরা বড়ো পুচ্ছ নাড়িয়ে ময়ূর সাজে। নিম্ন যোনি বিশ্বরূপ। দাস-প্রণয়িনী অতঃপর বিক্রি হয়, স্বপ্ন বিজ্ঞাপন থেকে মুখ ফেরালো কে?
শুধু বল্গা হাতে তুমি থাকো, আঁধার মিশকালো। অশ্ব পৃষ্ঠে মিরপুরের দিকে। বিকেলের কলে জল পড়ে যাক, সারা পৃথিবীর শববাহকেরা নিঃসঙ্গ ট্রেনের হুইসল বাজাক দূরে। আকাশের লাল উল্কি বাড়ি গাঁথছে। তোমার হিরণ্ময়, যার ডাকনাম হিংসুটে- হীরু, তার জন্য ঝুমুরে লতা ঘুরিয়ে শাড়ি পরেছ, কপালে কালো বনমরিচের টিপ…