গু চ্ছ ক বি তা
নদীজলের প্রগাঢ় নৈঃশব্দ্যের কাছে
আয়ু ভেসে গেছে—পুরোনো বাঁশি
গ্রাম আর শহরের মাঝামাঝি মেঘগুলো—
দ্বিপাক্ষিক নক্ষত্রের সভ্যতা
সর্বত্রগামী পরভব
বিষণ্ণ ধোঁয়ার মতো জানাজানি হয়ে যায় খুব।
আমাদের কথা বলে ওঠা হয়না
সীমান্তের বন্দুকনলের মতো।
২.
এত বৃষ্টির মধ্যে
এত এত বৃষ্টির মধ্যে—
যে অশ্ব দৌড়ে বেড়ায় উড়ন্ত বিদ্যুতের মতো,
বিষাদরাঙা মরুরাজ্যের আগন্তুক পাখিদের মতো…
তারও প্রসবকালে গর্ভ থেকে জেগে ওঠে
অসংখ্য তূণীর
যে যুবতী রেখে গেছে একখণ্ড মৃত্যু
তাকে দেওয়ার মতো ফুল,বাগিচায় ফোঁটেনি।
৩.
গ্রাম-শহর ভেঙে বেরিয়ে আসে শিশুদেহের প্রমত্ত লালা।
বেরিয়ে আসে মূল্যবৃদ্ধি। বেরিয়ে আসে ক্রূদ্ধ জনতার শরীর।
আমি নিস্প্রাণ হয়ে থাকি।
সভ্যতার গায়ে লেগে থাকে কৃষ্ণপক্ষের পরিত্যক্ত চাঁদ।
৪.
এক একটা পাথরের শরীর দিয়ে
গড়ে ফেলি নিজস্ব অবয়ব।
পৃথিবীকে যেভাবে দেখি,
যেভাবে পৃথিবী আমাদের দিকে তাকায়
জন্মকাল থেকে মৃত্যু, সমান্তরালে
ক্রমাগত হেঁটে হেঁটে যায়
আমি মৃত্যুর কথা ভাবি।
আমাদের দুঃখগুলো প্রশস্ত বারান্দায় জড়ো হয়,
একে অন্যের দিকে মুখ চাওয়াচাওয়ি করে…
জড় অবয়ব নক্ষত্রের ক্ষুধাকাল জাগিয়ে
দাউ দাউ করে পুড়ে যায়।
৫.
আমার একটা রেডিও স্টেশন ছিল।
একেবারেই নিজস্ব কথা আর উপকথা সম্প্রচারিত হতো সারাদিন।
একটা ছেলে আর একটা মেয়ে।
একটা রকের গল্প। তার ভিতর চা আর আড্ডা।
একটা প্রবৃত্তির গল্প। একটা নিবৃত্তির।
একটা বেশ্যাখানার,একটা শ্মশানের।
একবার অভ্যুত্থানের গল্প। একবার নিভে যাওয়ার।
আমার একটা রেডিও স্টেশন ছিল। সবারই যেমন থাকে।
জীবন ফুরিয়ে আসে…ঝিরঝির-ঝিরঝির; ঝিরঝির-ঝিরঝির…