ক বি তা
কি অমোঘ, বিন্যস্ত ধর্ম-জিজ্ঞাসা! অসমাপিকা বিস্মৃতি, লেখা
ছুঁয়ে থাকে কোন কষ্টকেন্দ্র, বাধ্য বোধহীনতায়, বিপর্যস্ত
সে কবি বোঝেনি তার সান্দ্র আয়োজন; বর্ম সমর্পণ। যেন
ইহকালে দোলে অর্জন-মনীষা, উপহাসময় স্রোতঃরেখা।
গার্হস্থ্য সন্ন্যাসে সন্তান, প্রেমিক, পিতা, বন্ধু, সখা— যে উদ্ভ্রান্ত
জাতক, আনখশির শ্রমিক, অক্ষয়-ঋণ শোধে অঙ্গ ভ্রমি
রিপুভার হারায় একাকি; একা, উদ্বাস্তু পংক্তিমালার শান্তি
কি অমোঘ পায়! কি অসীম আশ্চর্য! কী বিন্যস্ত জিজ্ঞাসা-ধর্ম?
‘সম্বন্ধের ধূসরতা ও নূতনতা’ নিহিত আনন্দ আভাসে
সন্ধ্যা-ধূলায়, রসগন্ধা বধ্যভূমে, মেঘের বালিকা মুহূর্ত,
আঁখিচরাচর, বর্ণময়; আর্দ্র আরক্ততায়, কথাবিলাসে…
সন্ত ঋতি, লিপিকার পূর্ণ যতি, দেখি— অগোচর; অপ্রত্যক্ষ
ক্রমিক আরোহ, ব্যবহারে অর্থহীন, অবরোহী কখনো
হে অর্বাচীন, যদি স্বীকার করো! যদি, সময় শিকার করো।
যেদিন শপথ— দুইজনে, কথা বলা, মনে পড়ে
দ্বিধা এসেছিল; এসেছিল হয়তো, পুরনো কোনো
পূর্ব; আর প্রবীণ তিমির মতো, বৃদ্ধ জলে, তোড়ে
ডুবে, ভেসে-উঠে, ডুবে– অন্তঃসাঁতারে, বুড়ো আগ্রহ
পার হয়ে দেখেছি, আমারো, কিছু ছিল অন্তহীন
নবীন অপেক্ষা। আজ আরোপিত ঋণ, মনঃজাত
ক্লোজআপে, অপার রঙিন সন্ধি, শেষ সন্ধ্যায় – যুদ্ধ –
নিপাট সাদাকালো ওঠাপড়া সে; বন্দরে, প্রাচীন
নোঙর ফেলা। কড়া মাস্তুলের দু’দণ্ড ভিজে রোদ
মাখা, গাঙ-ফেরতা হাওয়া, বাতাস খেলা পল্কা মন
নিয়ে, চাঁদে, মাতোয়ারা, বৈধ অঘটন প্রতিরোধ –
‘এইতো, ভালো আছি,’ চিত্রপট। পাট ভাঙা মহাসন
পাতা এবং— ‘অসেতুসম্ভব বলে কিছু নেই’ বলেই
এদিনের গতিময়, অনিকেত স্ব-পথ নিয়েছি…