ক বি তা
নোনা জলে চাঁদ ভেসে ওঠে মৃতদেহের মতো
আমি বাঁচিয়ে রেখেছি কয়েকটি শব্দ দেউলের নৈবেদ্যে
মহাশূন্যের একটি কোটরে জীবন যোগাযোগহীন
প্রকান্ড নিস্তব্ধতায়
রাস্তা ছিনিয়ে নিয়েছে হাওয়ার কীট।
কল্পনার জঙ্গলে বৃষ্টি অভিশাপের মতো
আর লাল অঙ্গারে ভুলের মাশুল
শহুরে আস্তিনে কোবরার বেড়ে ওঠা ইটের পোশাকি আড্ডায়
আর চুপসে যায় ফানুস, টান ধরে ফুটপাতের মতো।
রাস্তার গা ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে গোটা দশেক অকেজ শব্দ
জীবাণুর মতো সাজিয়ে নিচ্ছে আমাদের হৃদয়।
ভেতর দিয়ে ভেসে যাচ্ছে একটি বারুদ জাহাজ
মৌন আবহাওয়া
বীতশ্রদ্ধার ভরসায় স্পন্দিত হচ্ছে তাবৎ মূর্তিমান উপসর্গ
চোখের আগুন ছুঁড়বে এবার তন্থিচিতা।
পাট ধোয়া জলে দারিদ্র ভিজিয়ে নিয়েছে
আমাদের জন্ম
ভয় আর সংশয়— বেড়ে উঠছে একটি সভ্যতার গাছ
স্নেহের বইপত্র হারিয়ে গেছে আকালের ঝড়ে
ভাতের পাত্রে উজ্জীবিত হচ্ছে শূন্যতা
আর নরকের দেহে পুষ্টি।
মেঘের অচলায়তনে বৃষ্টিও দেউলিয়া
বিপর্যস্ত চরাচরে আর একটিও নৌকো নেই।