ক বি তা
কাগজ থেকে ফুলটুকু
যে অতি সন্তর্পণে বাদ দিয়েছিল
সেই সিপিয়াসর্বস্ব মেয়েটি
বাগানে তার স্বপ্ন লিখে রাখছে
এখন সাদাকালো দাবার বোর্ডে
সবুজ আপেল এলোমেলো গড়ায়
যেন সাম্প্রতিক নয়
তবু কোন কমলা মাংসের ঘ্রাণ
বেয়ে রোমকূপ থেকে উঠে আসছে সাপ
আর ফিসফিস করে তোমায় বলছে
“বিশ্বাস করো,
এসবই আসলে সত্যি”…
আমি চাইছিলাম ও একটু হেসে উঠুক; হ্যাঁ, এটা নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না যে ও একজন মেয়ে, হাসলে তো ওকে ভালোই লাগবে, এ ধারণা আমার ছিল, অবশ্য উচ্চকিত কিছু নয়, বরং খুব সন্তর্পণে, ওর অনাবৃত দাঁত ঠোঁট দিয়ে ঢেকে দিয়েছি আমি আর ভাঁজ করে রাখা ঊরু, ওর সুডৌল দুই হাত চলে গেছে অবিন্যস্ত চুল বরাবর, আধবোজা চোখ, ঠিক যেমনটা বলেছিলেন দরজার ওপাশের সেই বৃদ্ধ ভারবাহী মানুষটি, মনে আছে তাঁর লোল মুখ থেকে যেন শুষে নেওয়া হয়েছিল রঙ, যেমন অহেতুক শব্দের ভিড়ে ক্রমশ হারিয়ে যায় ভাষা, আর আমি তাঁর কথা মতোই চেষ্টা করছিলাম, যেভাবে বরফের আড়াল থেকে কেউ খুঁজে নেয় প্রস্ফুটিত ফুল, অন্তত শেষবারের মতো হলেও যদি ওর মুখে ফুটিয়ে তোলা যায় খানিকটা হাসি, কারণ যতক্ষণে আমার কাছে ওকে নিয়ে আসা হয়েছিল, তার অনেক আগেই ও মারা গিয়েছে…