গু চ্ছ ক বি তা
এই বিপরীতনামা দেখতে দেখতে
টসে হেরে আত্মহত্যা করে দুটো ফুল
যে যার মতন ডুব দিই; ভুলে যাই
বন্য কুবোপাখি হয়ে কূজন ডাকতে
জলগামী হয়ে আচমন করি নদী
এখনো একান্তে বসি ডান উপকূলে
ছিপ ফেলে কাব্য আঁকি নুড়ির ভেতর
ছুঁয়ে ফেলি বট গাছের নরম পাতা
সেভাবে তাকানো হয়নি; কিন্তু ছাপোষা
জীবন তালিম দেয় প্রকৃতি প্রেমের।
প্রিয় জ্যোৎস্না উথলে পড়ুক সর্ষে খেতে
যেমন উপচে পড়ে ঐ ভাতের মাড়…
হাডুডু-তে মত্ত হোক ব্যস্ত জোনাকিরা
সায়াহ্ন চিনে নিক উল্টো স্রোতের ছবি
শব্দবরণ শেষে খুলে ফেলি তাবিজ
কবন্ধ বন্ধকী রেখে মগজের ডালে
পুষে রাখি খেঁকশিয়ালের মনোভাব
এভাবেই তারারা আকাশে ফুটে থাক
অচেনা ছকে চেনা পৃথিবীর হেমন্তে
নিজেকে যাচাই করে আলোর উৎসবে।
এই স্মরণিকা পেরোলে তুমি উন্মুক্ত
দখিন-দুয়ারে হোক গ্যাডোলাস চাষ
সদ্যোজাত ভাটিবেলা এসে চুমে যাক
ঠোঁট, শ্রীখোল ও গণতন্ত্র ডট কম।
কেবল তৃণভূমিতেই জীবন বৃথা
বালুচর ও নদীর মধ্যবর্তী স্থানে
ভাগ বসাই সবুজ শ্যাওলার দ্বীপ
উঠোন ভর্তি গণতন্ত্র শেখালে জানি
ভাঁটফুল হয় ভেতরের কুহু কুহু
ছুটে আসে শিমুল, বেলি ফুলের গন্ধ
ফেবু দরবার করা যায় নিঃসন্দেহে
বৃষ্টি নেমে আসার বাটন দাবি তুলে
পায়ে পায়ে হেঁটে যায় চোরকাঁটা; চলো
তারে যত্নে বাঁধি দু-দুটো সেমিকোলনে
দিনশেষে সমস্ত ভাত ক্ষুধা মেটালে
লালন গেয়ে ওঠে মানবতা, মানুষ
মাটি ফলে পাই সোনা, স্বপ্ন ও সোহাগ
বিশল্যকরণী বটি ফেরি করে আলো
খোঁড়া হয় ভুঁইফোঁড় কিছু ইতিহাস
আর মিছে হাসে বাঁশফুলের জার্নাল