জি ভে জ ল
কথায় বলে ‘ষোল আনা বাঙালিয়ানা।’ আজ বরং বলি ষোল আনার একটু বেশির কথা। হ্যাঁ আজ বলি বর্ধমানের বাঙালিয়ানা ‘ষাড়ে ষোল আনার’ কথা। ভোজন রসিক বাঙালির কাছে উৎসব ও আনন্দ উদযাপন মানেই রকমারি খাওয়া দাওয়া। তা সে দুর্গা পুজোই হোক বা পয়লা বৈশাখ, উৎসবের আমেজ কিন্তু দ্বিগুণ হয় রসনার বাসনা তৃপ্ত হলে।তাই তো কথায় কথায় আমরা বাঙালিরা কবির ভাষায় বলে ফেলি ‘খাই খাই করো কেন, এস বস আহারে, খাওয়াব আজব খাওয়া, ভোজ কয় যাহারে।’ কিন্তু বাঙালির রসনার বাসনা সহজে তৃপ্ত হয় না। আর তাইতো বাঙালির রসনার বাসনা পূর্ণ করতে ‘সাড়ে ষোল আনা’ নিয়ে এসেছে এক অভিনব ভাবনা।
বাঙালির প্রতিটা উৎসবে বাঙালিয়ানার ছোঁয়া রেখে এবং বাঙালির আনন্দে অন্যমাত্রা যোগ করতেই এই অভিনব প্রয়াস। ঠিক কথামতো ‘সুক্তো দিয়ে শুরু আর চাটনি দিয়ে শেষ’ আর তার মাঝে নানা পদ – এই আয়োজনই যেন মনে প্রাণে বাঙালির শিরায় শিরায় আনন্দের জোয়ার আনে। প্রবাসে থাকা বাড়ির ছেলেটাও যেন ঘরে ফিরে চেটেপুটে আস্বাদন করতে চায় এই স্বাদ। আর এই কথাটা মাথায় রেখেই মায়ের হাতের রান্নার ছোঁয়া মাখা মায়ায় সাজানো বাঙালির সুসজ্জিত ভাতের থালি নিয়ে হাজির হয়েছে ‘ সাড়ে ষোল আনা’। সুক্ত, ডাল, রকমারি ভাজা, চপ,সবজি,মাছ ও মাংসের নানা পদ, ভেটকি মাছের পাতুরি, চিংড়ি মাছের মালাইকারি,চিতল মাছের মুইঠ্যা, পোলাও, ডালনা, কোফতা, পনির, চাটনি এসবের সাথে শেষ পাতে থাকে পায়েস,দই, মিষ্টি, আর পান। আর কী চাই।
সম্প্রতি ভোজন রসিক বাঙালির এক অন্যতম প্রিয় পদ বিরিয়ানি নিয়ে হাজির হয়েছে সাড়ে ষোল আনা।কাঁসার থালা গ্লাসে সাজানো এই বাঙালির আবেগ অমৃতের চেয়ে কোন অংশে কম নয়।এ তো গেল খাবারের কথা। এবার আসা যাক রেস্তোঁরার সাজসজ্জা ও আবহে। নামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই যেন সারা হয়েছে এই বাঙালি রেস্তোরাঁর রূপদান পর্ব। এখানকার অসাধারণ সুন্দর সাজসজ্জা,শিল্পকারুকার্য ও অভিনব আসবাবপত্র সহজেই নজর কাড়বে সকলের। অসাধারণ খাওয়া দাওয়ার পাশাপাশি এমন সুন্দর জায়গায় কিছুটা সময় কাটানো যেন সত্যিই উপড়ি পাওনা।আর এই সমগ্র পরিকল্পনা অর্থাৎ খাবারের পদ, রেসিপি থেকে শুরু করে রেস্তোরাঁর আভ্যন্তরীন সাজসজ্জা সবটুকু যিনি একা হাতে করেছেন তিনি হলেন রেস্তোরাঁর কর্ণধার শ্রী মলয় সামন্ত।এই রেস্তোরাঁর বিশেষ আকর্ষণ হল তিন ধরনের বাঙালি থালি ।
১) মনোহারী নবান্ন নিরামিষ থালি
এই থালিতে আছে ভাত, ডাল, রকমারি ভাজা, নিরামিষ চপ, তরকারি, আলুপোস্ত , পোলাও, ধোকা,ছানার ডালনা, পনির , চাটনি, পাপর, দই , মিষ্টি ও পান।
২) আহ্লাদী মুরগির থালি
এই থালিতে আছে ভাত, ডাল, রকমারি ভাজা, মাছের চপ, তরকারি, আলুপোস্ত, পোলাও, ধোকা, ছানার ডালনা, আলু দিয়ে মুরগির মাংসের ঝোল, চাটনি, পাপর, দই ও মিষ্টি।
৩) রাজকীয় মাটন থালি
এই থালিতে আছে ভাত, ডাল, রকমারি ভাজা, মাছের চপ, তরকারি, আলুপোস্ত, পোলাও, ধোকা, ছানার ডালনা, আলু দিয়ে খাসির মাংসের ঝোল, চাটনি, পাপর ,দই ও মিষ্টি।
শ্রী মলয় সামন্ত ( সাড়ে ষোল আনা রেস্তোরাঁর কর্ণধার)
মডেল – অনুক্তা ঘোষাল
পোশাক – লেবেল সুকন্যা
মেক ওভার – অন্বেষা মিত্র
চিএ – খুশি দাস
স্থান – সাড়ে ষোল আনা রেস্তোরাঁ
বিশেষ ধন্যবাদ – শ্রী মলয় সামন্ত