ক বি তা
অবিনাশের বাগদী পদবীটা তুলে দিতে
কে না কে তাকে বলেনি। রিমিও বলেছিল।
শোনেনি অবিনাশ। বলেছিল, ভালো মানুষের মুখ
এমনি এমনিই সুন্দর হয়ে ওঠে।
তারপর রিমি চলে গেল একদিন কোলকাতায়।
রকে বসে ছেলেরা পথচলতি মেয়েদের
ঢেউ তোলার গল্প করছিল, অশ্লীল…
বলছিল তারা, পাখি-রাত যে হাওয়ায় উড়বে
আর অন্ধকার-ঝাপট লাগিয়ে এর-ওর বাড়ি,
তারপর ক্লান্ত, একেবারে নিঃস্ব হয়ে ঘরে ফিরবে;
এ-আর এমন কথা কী?
ভালো লাগছিল না রিমির।
এদিকে অবিনাশ। নিশিক্লান্তপুর গ্রাম।
দিনের আলোয় কাজ করে ক্লান্ত হয়ে আসা তার চোখ,
ঢুলছে আর রিমি লিখছে সে।
খাতা ভরে গিয়ে কবিতা উপচে পড়ছে তার।
বলছে, তোমার কাছে যাওয়ার সেইসব বয়স,
এই বয়সে বসে এখনও আমি ভাবি কিছু রিমি।
আর হ্যাঁ ভালো কথা, তুমি যে ঘুম নিয়ে এসেছিলে কিনে
কাল রাতে কোলকাতা থেকে, আমাকে একটু পাঠিও প্লিজ।
আমিও কিছুটা স্বপ্ন দেখি!